শ্বশুর বাড়ির আট সদস্যের বিরুদ্ধে কালনা এসিজেএম আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন এক বিধবা মহিলা। নাম আজিবা বিবি। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি মন্তেশ্বর থানাকে নির্দেশ দেন বিচারক লীনা গোলদার। কিন্তু সেই তদন্ত নিয়ে মন্তেশ্বর থানা কোনও উৎসাহই দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ আজিবা বিবির আইনজীবী পার্থসারথি করের।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার কথায়, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।” মন্তেশ্বর থানার ওসি আকাশ মুন্সির অবশ্য দাবি, আদালতের নির্দেশ বা গৃহবধুর অভিযোগ, কোনও নথিই তিনি পাননি। পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার সূত্রপাত এক বছর আগে। আজিবা জানিয়েছেন, তাঁর শ্বশুরবাড়ি মন্তেশ্বর থানার কুসুম গ্রামে। ২০০৪ সালে বিয়ের পর থেকে সেখানেই স্বামীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। গত বছর তাঁর স্বামী মারা যান। আজিবার অভিযোগ, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তাঁর নাবালক ছেলেমেয়ের ভবিষ্যতের কথা বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে দেওর ঝন্টু দফাদারের সঙ্গে থাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এর পরে ২ ফেব্রুয়ারি ঝন্টু ও আরও কয়েক জন তাঁকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ আজিবাবিবির। কাকতালীয় ভাবে সে দিনই তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পড়লে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু ছেলেমেয়ে নিয়ে এর পরে তিনি আর শ্বশুর বাড়িতে থাকার সাহস পাননি। চলে আসেন বাপের বাড়ি, কাটোয়া থানার পলসনা গ্রামে। কুসুমগ্রামের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ আজিবার। এর পরে পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তাতেও সুফল না মেলায় আজিবা বিবি আদালতের দ্বারস্থ হন।
তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঝন্টু দফাদারের পাল্টা অভিযোগ, “আমার বৌদির চরিত্র খারাপ। তাই তাঁকে আমরা বাড়িতে থাকতে দিতে রাজি হইনি। এখন আমাদের জব্দ করতেই তিনি এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছেন।” |