|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
সার্ধশত জয়ন্তীতে গরুর রচনা |
বইপোকা |
|
‘দুন্দুভি বেজে ওঠে
ডিম্-ডিম্ রবে,
সাঁওতাল-পল্লীতে উৎসব হবে।’
সত্যই হইবে? রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জয়ন্তীর সমাপ্তি উৎসব, সাঁওতাল পল্লিতে? রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বময় ছড়াইবার উদ্যোগে ভারতের প্রত্যন্ত প্রান্তই বা বাদ পড়িবে কেন? শ্রীনিকেতন যাঁহার পরিকল্পনা, পিয়ার্সন সাহেবকে সাঁওতাল গ্রামগুলির ছেলেমেয়েদের জন্য বিদ্যালয় খুলিতে বলিয়াছিলেন যিনি সেই রবীন্দ্রনাথের রচনাবলি না হউক, অন্তত একটি পরিচয় গ্রন্থ সাঁওতালি ভাষায়, অলচিকি লিপিতে প্রকাশিত হওয়া উচিত। ইতিমধ্যে প্রভাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি দুর্লভ সাঁওতালী-ভাষা গ্রন্থটি পুনঃপ্রকাশিত হইয়াছে, আনন্দের কথা। প্রায় শতবর্ষ পূর্বে, ১৯১৪-য় নিজেই গ্রন্থটি এক সহস্র মুদ্রিত করিয়াছিলেন প্রভাসচন্দ্র। তাঁহার সাঁওতালি-শিক্ষার ইতিহাসটিও বিচিত্র: ‘আমি অনুসন্ধানে জানিতে পারি যে, উহারা মদ খাইতে অতিশয় ভালবাসে, তখন তাহাদিগকে বাধ্য করিবার জন্য আমি প্রত্যহ এক একজন সাঁওতালকে মদ খাইতে পয়সা দিতাম। তাহারা মদ খাওয়ার পর আমার বাড়ীতে আসিত এবং আনন্দের সহিত বহুক্ষণ পর্য্যন্ত আমার জিজ্ঞাস্য বিষয়ের উত্তর দিত, আমি তাহা লিখিয়া লইতাম।’ গ্রন্থটি সম্প্রতি প্রদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ ভূমিকা-সহ প্রকাশিত হইয়াছে সাঁওতালি ভাষা ও রবীন্দ্রভাবনার দু-এক কথা (এম সি সরকার) নামে। এমত জগাখিচুড়ি নাম এবং দ্বিতীয় ব্লার্বে বড় হরফে ‘সাঁওতালি ভাষায় রবীন্দ্রসঙ্গীত’ কথাকটি লিখিবার নেপথ্যে সার্ধশতবর্ষে গরুর রচনা-র প্রয়াস আছে। তথাপি গ্রন্থটি পুনঃপ্রকাশের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। |
|
|
|
|
|