আজ আবেগের অমর আগ্নেয়গিরি ইডেনে
কে জানত, সব কিছু এমন ওলটপালট হয়ে যাবে? কথা ছিল ‘প্লে’ বাটনটা পুশ করা মাত্র সেটা ফাস্ট ফরোয়ার্ডের মতো দুদ্দাড় দৌড়তে শুরু করবে। যেটা হল, প্লে-তে চাপ দিতে গিয়ে যেন ‘পজ’ বাটনে হাত পড়ে গিয়েছে। রাতারাতি বাঙালির সর্বকালীন বৃহত্তম ব্লকবাস্টারে শুধু ছবি আসছে, শব্দ আসছে না।
ইডেন গার্ডেন্স সেই ১৮৬৪-তে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার ইতিহাসপঞ্জিতে তিনটে ঘটনা কালের আহ্নিক গতিকেও স্তব্ধ করে দিতে পেরেছে, যেন এই গত কাল ঘটেছিল। ১৯৪৬-এ মুস্তাক আলিকে না নেওয়ার প্রতিবাদে ইডেনের বাইরে পোস্টার ‘নো মুস্তাক, নো টেস্ট’। ১৯৬৭-তে ইডেন গার্ডেন্সে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কনরাড হান্টের সেই প্যাভিলিয়নের টঙে উঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতাকা বাঁচানোর চেষ্টা। আর অবশ্যই ২০০১ এবং লক্ষ্মণের সেই জাদুকরী ২৮১। স্টিভ ওয়ের অশ্বমেধের ঘোড়া থেমে যাওয়া। ইডেনের চিরপ্রভাবশালী নেমপ্লেটে চতুর্থ জায়গাটা বহু দিনই বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে—দাদা বনাম খান! ক্রিকেট যুক্তি দিয়ে স্বপ্নেও ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় ২০ ওভারের বালখিল্য ক্রিকেট ঘিরে যে গোটা বিশ্বের বাঙালি একটা ম্যাচ নিয়ে এমন উত্তেজিত, প্রভাবিত, এমন আলোড়িত হয়ে পড়তে পারে। পুণের উপর্যুপরি চার পরাজয়েও যার টিকিটের চাহিদা কমবার কোনও লক্ষণ নেই।
পুণে বধের ছক কষছেন গম্ভীর-আক্রম। শুক্রবার ইডেনে।
কিন্তু কোথাও যেন ভেতরে ভেতরে সুর কেটে গিয়েছে। শুক্রবার মুম্বইয়ে ফোন করে জানা গেল, শাহরুখ খান তাঁর গ্ল্যামারাস বন্ধুবান্ধবের কাউকে ম্যাচে আনছেন না। কেকেআর মুখ্যকর্তা বেঙ্কি মাইসোর বললেন, “ক্রিকেটটাই মুখ্য। মনোযোগটা ক্রিকেটারদের উপরই থাকা ভাল।” গতবারে অকিঞ্চিৎকর আইপিএল ম্যাচে যেখানে হৃতিক রোশন বা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া হাজির হয়েছেন, সেখানে দাদা বনাম খান দেখতে শাহরুখের বক্সে মেগাস্টার বলিউডি উপস্থিতি থাকবে না? পুণে ওয়ারিয়র্স তো বলেছিল, আঠারো জন স্টার আনবে। একটা সময় পুণে কর্তারা বলছিলেন, কাকে ছেড়ে কাকে নেব বুঝতে পারছি না। সবাই আসতে চাইছে। আপাতত টানা চার হারের ঠোক্করে পুণে দুর্গ এমন বিধ্বস্ত যে কেউ আসছেন না। পুণের সর্বোচ্চ কর্তা সুব্রত রায় চলে গিয়েছেন লন্ডনে। এমনকী বক্সার বিজেন্দ্র সিংহের আসার কথা ছিল, তিনিও নাকি আসছেন না। কথা ছিল টক্কর হবে মাঠের বাইরেও সমান সমান। এ বলে আমায় দ্যাখ, ও বলে আমায় দ্যাখ! বোঝা যাচ্ছে, হাই ভোল্টেজ তারকা-দ্যুতি যদি মাপকাঠি হয়, কেকেআর মালিক বাদ দিয়ে দুটো বক্সই কার্যত নিষ্প্রদীপ থাকবে।
পুণের শিবিরে শুক্রবার যে চেহারা সরেজমিনে দেখা গেল, তা মানসিক আগুনে পোড়া, জলে ডোবা, শাপভ্রষ্ট একটা দলের। কর্তাদের কাউকে আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না। ১২১ রান তাড়া করতে গিয়ে হাতে চার উইকেট রেখে হার তাদের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে এতটুকু প্রসন্ন করেনি এই খবরটা অবশ্যই পাওয়া গেল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরের টেবিলে একটা টিমলিস্ট পড়া। মনে হল কাল ভোররাতে তৈরি হয়েছে ইডেন ম্যাচের জন্য। কিন্তু ইডেনে সেই একাদশ নামবে তার এতটুকু নিশ্চয়তা নেই। পুণে টিমে যে ছেলেটা ব্যাগ বয় সে-ও এত দিনে জেনে গিয়েছে ক্রমাগত হারতে থাকা দলের সর্বাধিনায়ক তার মালিক। সে ক্যাপ্টেনের নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হলেও। হারতে থাকা দলের যা-যা চিহ্ন উপস্থিত হতে পারে সবই ভেসে উঠছে। জানা যাচ্ছে, টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা খেয়েছেন পুণের বোলাররা। ৫৯। ইন্টারেস্টিং, সবচেয়ে কম ছক্কা খেয়েছে কেকেআর। ৩৪। ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে মার খেয়েছেন রাহুল শর্মা। তার পরই আশিস নেহরা। বেশি ডট বল খেলাতেও পুণে প্রায় শীর্ষস্থানীয়। কে জানত ২-০ এগিয়ে যারা আইপিএলকে জমিয়ে দিয়েছিল তারা ৫ মে-র মহা গুরুত্বপূর্ণ দিনের আগে এমন একটা দলের কাছে অবিসংবাদী আন্ডারডগ হয়ে পড়বে, যারা কিনা এ বারে মরসুম শুরু করেছিল ০-২ হার দিয়ে!
রাতে দমদম বিমানবন্দরে নেমেও সৌরভ সহাস্য থাকার চেষ্টা করলেন। দাবি করলেন, চাপ তাঁর জীবনে নতুন নয়। তিনি মোটেও ঘাবড়াচ্ছেন না। কিন্তু টিমের আভ্যন্তরীণ স্ক্যান রিপোর্ট বলছে তাঁকে অবিলম্বে হয় নেতা, নয় ব্যাটসম্যান হিসেবে কিছু করে দেখাতে হবে। বাকি পাঁচ ম্যাচে অভাবিত উন্নতি না হলে নিশ্চিত ভাবেই পরের মরসুমে পুণে ওয়ারিয়র্সের কোচ হওয়ার সম্মানজনক প্রস্তাব তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে।
আশিস নেহরা এ-দিক ও-দিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কলকাতায় নামামাত্র ভক্তদের দ্বারা সংবর্ধিত সৌরভকে ঘিরে ঠাট্টার সুরে বললেন, “দাদা নতুন এয়ারপোর্টটা তোমার নামে হচ্ছে তো?” সেই মুখ দেখে বোঝার উপায় নেই গতকাল রাত্তিরে কী ঘটে গিয়েছে। প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়ে উত্তেজিত নেহরা ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলেন। সৌরভ অবধি তাঁকে বুঝিয়ে পারছিলেন না। শেষমেশ বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড এসে কর্তাদের অনুরোধ করেন, এত ভাল একটা বোলার। ওকে আর একটা সুযোগ দিন। সেই মতো নেহরা দলে ঢোকেন। দলে ঢুকে দুই উইকেট নেওয়াটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়। দল নির্বাচনে অধিনায়ক যে একক ক্ষমতাশালী নন, সেই খবর রটে যাওয়া তাঁর দল নিয়ন্ত্রণী ক্ষমতা অবশ্যই বাড়াবে না।
শনিবারের ম্যাচ ছুটকো গ্রুপ লিগের হয়েও। পয়েন্ট তালিকায় থাকা দুই এবং আটের মধ্যে অসম লড়াই হয়েও কোথাও একটা প্রবল আক্রোশের পরিপ্রেক্ষিত জড়িত যে, আমাদের ছেলেকে ওরা অন্যায় ভাবে তাড়িয়ে নিজভূমে পরদেশী করে দিয়েছে। কেকেআরের পক্ষে এ দিনও বলার চেষ্টা হল, আক্রোশ চরিতার্থ বলতে যা বোঝায়, তা সৌরভের সঙ্গে তারা করেনি। মেন্টর হওয়ার সম্মানজনক অফার দিয়েছিল। নন-প্লেয়িং মেন্টর। সৌরভই সেটা প্রত্যাখ্যান করেন। কয়েক মাস আগেও কেকেআরে কেউ কেউ পরিহাসের ছলে বলেছেন সৌরভ ব্যাট করতে নামলে ডি’লাঞ্জের বাউন্সারে স্বাগত জানানো উচিত। ডি’লাঞ্জ দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন, কিন্তু সেন্টিমেন্টটা ছিটকে গিয়েছে মনে করার কোনও কারণ নেই। ডি’লাঞ্জ নেই তো কী, ব্রেট লি আছেন। তাই অঙ্কের হিসেবে আইপিএলের মামুলি একটা ম্যাচ আবেগের বিচারে আইপিএল গ্র্যান্ড ফাইনাল।
যার চার রকম পরিণতি হতে পারে। এক, ফেভারিট কেকেআর জিতল, সৌরভের বদলা নেওয়া হল না। দুই, আন্ডারডগ পুণে জিতল। সম্পূর্ণ হল সৌরভের বদলা নেওয়া। তিন, পুণে হারল, সৌরভ ভাল খেললেন। আংশিক বদলা হল। চার, বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল। কারও সম্মান গেল না, এল না।
তা হলেও ম্যাচ নিয়ে আলোচনা আর আবেগের বিস্ফোরণ চলতেই থাকবে। স্বয়ং সৌরভ দুপুরে শুনলেন এই ম্যাচটাকে বলা হচ্ছে ১৯০৫-এর পর দ্বিতীয় বঙ্গভঙ্গ। শুনলেন এক ইতিহাসবিদ বলেছেন, ১৯৩৮ সালে হরিপুরায় নেতাজিকে যেমন গাঁধীজি তাড়িয়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস থেকে, তখন যেমন বাঙালির আগ্নেয়গিরি একত্রিত হয়েছিল, আজ ৭৪ বছর পরে তাই হয়ে রয়েছে। রাতে পুণে-কলকাতা যে ফ্লাইটে সৌরভরা আসছিলেন তাতে এক সহযাত্রী বলে গেলেন, আপনি যদি কলকাতাকে হারান মান্না দে-র গানটা গাইব, ‘আমি দুঃখ পেয়েও খুশি হলাম জেনে’। উলটো দিকে নাইটরা রীতিমতো বিরক্ত হয়ে আলোচনা করছে অন্য সব শহর তার মহানায়কদের জন্য এই সেন্টিমেন্ট দেখায়নি। কলকাতা দেখাচ্ছে কেন? কই, রাহুলকে নিয়ে তো বেঙ্গালুরুতে এমন হয়নি? লক্ষ্মণ আইপিএল খেলছেন না বলে তো হায়দরাবাদ আইপিএল বন্ধ ঘোষণা করেনি? যুবরাজকে পঞ্জাব টিম থেকে সরিয়ে দেওয়ায় মোহালি স্টেডিয়ামে তো কেউ অনশনে বসেনি?
সৌরভদের প্রতিটি ম্যাচ অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে লক্ষ করেছে নাইটরা। তারা সম্যক অবহিত বাঙালির ক্রিকেট মহানায়ক সম্পর্কে এই যে বিভিন্ন কথা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিনরাত প্রবাহিত হচ্ছে।
দেহপট সনে নট সকলই হারায়।
সময় আর নদীর স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না।
অনেক হয়েছে, নিজের মর্যাদার জন্য এ বার থামো।
মহারণের আগে হাল্কা মেজাজে রজত ভাটিয়া ও ইউসুফ পাঠান। শুক্রবার।
আক্রোশের দৃষ্টিকোণটা অনিবার্য ভাবে আরও জম্পেশ হয়ে দেখা দিত। দিচ্ছে না, যেহেতু কেকেআর অধিনায়কের নাম গৌতম গম্ভীর। সৌরভ আর গম্ভীর প্রকৃতিগত ভাবে এত এক রকম যে, প্রথম জনের বিয়েতে পরের জন নিতবর হলে বেশ জুতসই হত। অজয় জাডেজা বলে থাকেন, গম্ভীর হল সৌরভের ‘ক্লোন’। দু’জনেই বাঁ-হাতি, দুজনেই সম্পন্ন ঘর থেকে উঠে আসা। দুজনেই এমএসডি নামক এক মানুষকে তীব্র অপছন্দ করেন। দুজনেই ক্রিকেট মাঠে চরম আক্রমণাত্মক। দু’জনেই ক্রিকেটজীবনে প্রচুর অবিচারের শিকার হয়েছেন। গ্রেগ চ্যাপেলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন সৌরভের সেই রোমাঞ্চকর কামব্যাক ঘটছে, তখন ছোট একটা কম্বি ভ্যানে করে দলের অনুশীলনের বাইরে নিয়মিত বাড়তি ব্যক্তিগত প্র্যাক্টিস করতে যেতেন সৌরভ। শনিবার ইডেনে যখন ক্রিকেটজীবনে তাঁর অন্তিম কামব্যাকের (এ বারেরটা অন্তিম হতে বাধ্য) প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে, তখন কি তাঁর মনে থাকবে সেই কম্বি ভ্যানে তাঁর সঙ্গী থাকতেন গম্ভীর?
ফ্র্যাঞ্চাইজির অনুমোদন পেলে যিনি ওপেনার হিসেবে আবির্ভূত হবেন। সেই সৌরভের মাথা উড়িয়ে দাও অথবা মাথা তাক করে বল করো, এটা বলতে পারবেন কেকেআর অধিনায়ক? বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রম, তিনিও তো দাদারই নিযুক্ত। কমেন্টেটর বক্সের সঙ্গী। আক্রম এবং গম্ভীরের উপস্থিতিতে দাদা বনাম খানের অনিবার্য ক্রূরতা, হিংসা আর প্রতিশোধস্পৃহা কমতে বাধ্য। সৌরভ নিজেও যথাসম্ভব চেষ্টা করছেন মহাবিতর্ক থেকে দূরে থাকার। ইডেন ম্যাচ নিয়ে একেবারেই মুখ না খোলার। ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে তাই আনন্দবাজারে নিয়মিত কলাম পর্যন্ত এ দিন লিখলেন না। যা আগে কখনও হয়নি।
দুটো টিম যতই নিঃশব্দ থাকার চেষ্টা করুক, বাঙালির বিভাজন সে তো কবেই ঘটে গিয়েছে। এ তো শুধু ক্রিকেট ম্যাচ নয়, জাতির আর্থ-সামাজিক প্রতিচ্ছবিও। স্বাধীনতা-উত্তর বাঙালি জাতীয়তাবাদের সম্ভবত শ্রেষ্ঠ প্রতীক এবং সেই আইকনের প্রতি অঙ্গীকার আর কৃতজ্ঞতা। তার বিরুদ্ধে শহরের প্রতি নাগরিক আনুগত্য। বাঙালি আজ এমন অনুপম বিভাজনে বিভক্ত, যা একটা সময় একমাত্র মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে কেন্দ্র করে ঘটত। স্বাধীনতা-উত্তর কোনও ব্যক্তিকে ঘিরে ঘটেনি।
ম্যাচে কী হবে-র মতোই মহাকৌতূহলী জিজ্ঞাসা ইডেন গ্যালারি কার দিকে ঝুঁকে থাকবে? শোনা যাচ্ছে, এই দ্বৈরথ দুটো রাজনৈতিক শিবিরকেও ভাগ করে দিয়েছে। তৃণমূলপন্থীরা বিরাট সংখ্যায় হাজির থাকছে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরকে সমর্থন জানাতে। প্রয়োজনে সৌরভের বিরোধিতা করতেও যারা পিছপা হবে না। বামপন্থীরা আবার দাদার প্রতি ভালবাসায় সেই অটুট। এটা হয়তো বিভাজনের অতি সরলীকরণ। কিন্তু ম্যাচ ঘিরে যে তার মূর্তিমান অনুপ্রবেশ ঘটেছে, কালীঘাট মাঠের মালিও বলে দেবে।
এমনই ম্যাচের আবহ যে, আবহাওয়া যদি খেলার অনুমতি দেয়, ফেভারিটরাই জিতবে বলার উপায় নেই। একে তো টি-টোয়েন্টি। চরম অনিশ্চিত। তার উপর খেলাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্রেফ স্নায়ুযুদ্ধ। যেখানে মাইকেল ক্লার্কের মতো পোড়খাওয়া পেশাদারও জিগ্যেস করছেন, গ্যালারি কাল দাদার থাকছে তো? অলক্ষ্যে জড়িয়ে গিয়েছে গোটা দেশের জ্যোতিষী সমাজ, সংখ্যাতত্ত্ববিদ, রাজপুরের বিপত্তারিণী মন্দির, মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক, নানান শহরের কালীবাড়িও। খেলা যে দিকেই যাক, দাদা বনাম খান ইডেনের অমর লোকগাথায় ঢুকে পড়ার জন্য তৈরি।
সেখানে ফাস্ট ফরোয়ার্ড বাটনটাই পুশ করা আছে। পজ নয়!

ছবি: উৎপল সরকার

আবহাওয়া ভরসা দিচ্ছে না
আজ, শনিবার কেকেআর-পুণের খেলা শেষ পর্যন্ত নিরুপদ্রবে দেখতে পারবেন তো ইডেনের দর্শকরা? আবহাওয়ার পূর্বাভাস কিন্তু কোনও ভরসা দিচ্ছে না। শনিবার বিকেল অথবা সন্ধ্যার পরে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাদের পূর্বাভাস, নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই এই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। খেলার উদ্যোক্তা এবং দর্শকদের আগে থেকে সতর্ক করে দিয়েছেন আবহবিদেরা। দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, শনিবার কলকাতার আকাশ প্রধানত মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। আর্দ্রতা পৌঁছে যেতে পারে ৯০ শতাংশে। বৃষ্টি না হলে ওই আবহাওয়ায় অস্বস্তিসূচক বাড়তে পারে। সেই অস্বস্তি কাটাতেই ঝড় হতে পারে বিকেল অথবা সন্ধ্যার দিকে, ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে। সঙ্গে নামতে পারে বৃষ্টিও।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.