মাঠ দখল মানা যায় না
মাঠ মাঠের জায়গায় থাকুক। এলাকার শিশুরাই তো ওখানে খেলাধুলো করে। এমন জায়গা জবরদখল করে বসতি তৈরি অনুচিত। এর ফলে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন পদক্ষেপ করুক। সরকারি জায়গা এ ভাবে দখল করা যায় না। বিষয়টি সকলেরই বোঝা উচিত।
রাধারানি বেরা। তৃণমূল কাউন্সিলর। ওয়ার্ড ১১। |
খেলার মাঠে খেলাই হোক
আমি প্রথম থেকেই প্রতিবাদ করছি। দলের মধ্যেও সরব হয়েছি। খেলার মাঠে খেলা হবে। কারও যদি বসবাসের জায়গা না থাকে, তা হলে তাদের জন্য প্রশাসন না-হয় অন্য জায়গার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু খেলার মাঠ জবরদখল কেন? আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা উচিত। সুমিতা বেরা।
সিপিএম কাউন্সিলর। ওয়ার্ড ২৪। |
পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে
আগে এই মাঠের পরিবেশ অন্য রকম ছিল। কত ছেলেমেয়ে আসত। খেলাধুলো হত। তিন বছর ধরে মাঠের একাংশ দখল হচ্ছে। এক দিকে কয়েকটি গাছ ছিল। সেগুলিও কাটা পড়েছে। রাতে এলাকায় বেরোতেই ভয় হয়। চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। মাঠ দখলমুক্ত করতে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।
সীমা লাহিড়ি। স্থানীয় বাসিন্দা। |
উচ্ছেদ হলে কোথায় যাব
আমরা গরিব মানুষ। লোকের ঘরে কাজ করে খাই। আগে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। এখন সেই সামর্থ্যও নেই। তাই মাঠে অস্থায়ী ঘর তৈরি করে আছি। এখন উচ্ছেদ হলে আমরা কোথায় যাব? জোর করে উচ্ছেদ করা হলে প্রতিবাদ হবে। আমরা জায়গা ছেড়ে যাব না। জায়গা ছাড়লে কোথায় থাকব?
মাজেদা বিবি। স্থানীয় বাসিন্দা। |
খেলার মাঠ ফুরিয়ে আসছে
শুধুমাত্র ওই মাঠ সম্পর্কে বলছি না। এখন মেদিনীপুরে খেলাধুলোর মাঠ সত্যিই কমে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে খেলাধুলোয় সবথেকে বেশি অবহেলিত হয়েছে এই শহর। এ ক্ষেত্রে মেদিনীপুর প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে। খেলার মাঠ যাতে খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়, সেই দিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
জগবন্ধু অধিকারী। মানবাধিকার কর্মী। |
প্রশাসন পদক্ষেপ করুক
মেদিনীপুর শহরে মাঠের সংখ্যা কম। যেগুলি রয়েছে, সেগুলিও খেলাধুলোর জন্য ততটা উপযোগী নয়। এই পরিস্থিতিতে মাঠ বেদখল হলে সমস্যা তো হবেই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলকেই উদ্যোগী হতে হবে। মাঠকে মাঠের জায়গাতেই রাখতে হবে। প্রশাসনকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।
অমিয় ভট্টাচার্য। প্রাক্তন ফুটবলার। |
মাঠ দখলমুক্ত করা জরুরি
ওটা সরকারি জায়গা। সরকারি জায়গা এ ভাবে জবরদখল করে রাখা যায় না। শহরের উন্নয়নের স্বার্থেই ওই জায়গা দখলমুক্ত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকেই তৎপর হতে হবে। ওই জায়গা শহরের উন্নয়নে লাগতে পারে। সরকারি জায়গা জোর করে দখল করে রাখার বিরুদ্ধে।
নাজিম আহমেদ। প্রাক্তন পুরপ্রধান। |
আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সরকারি জায়গা এ ভাবে জবরদখল করে রাখা বেআইনি। এ ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরিন্দম দত্ত। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)। |
তথ্য: বরুণ দে
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ |