|
|
|
|
|
|
খেলা |
স্মৃতির ফুটবল |
চন্দন রুদ্র |
ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। দলের রক্ষণ আগলাতেন তিনি। মাত্র ৩৯ বছরে সেই কাজ শেষ হয় অমিত বসুর। সম্প্রতি তাঁর স্মৃতিতে সতীর্থরা এক ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। অমিতবাবুর স্কুল হাওড়া বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের মাঠে সেই প্রতিযোগিতায় শিবপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় (দরিদ্র ভাণ্ডার)-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মাকড়দহ বামাসুন্দরী ইনস্টিটিউশন।
বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে ছাত্রদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে বছর দুয়েক আগে ‘বন্ধুতা’র জন্ম। বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের ১৯৮৪-র মাধ্যমিকের ছাত্ররা সংগঠনটি গড়ে তুলেছেন। অমিত ছিলেন এঁদের সতীর্থ। “স্কুলের ছাত্রদের ফুটবলে উৎসাহ বাড়াতে দু’বছর ধরে অমিতের স্মৃতি এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি,” বলছিলেন বন্ধুতা’র সদস্য শিক্ষক পার্থ ভট্টাচার্য। সন্দীপ বাগ, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, পীযূষ নাগদের এই সংগঠনে নাম লিখিয়েছেন ওই স্কুলের অনেক প্রাক্তনীও। |
|
আট দলের এই নক আউট প্রতিযোগিতায় বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশন, জগাছা হাইস্কুল, শ্রীমৎ স্বামী প্রজ্ঞানন্দ সরস্বতী বিদ্যালয়, যশোদাময়ী বিদ্যালয়ের মতো স্কুল অংশ নেয়। ফাইনালে লড়াই হয় মাকড়দহ ও শিবপুরের মধ্যে। আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে খেলা জমে উঠেছিল। সুযোগ ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে ২-০ গোলে শিবপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় (দরিদ্র ভাণ্ডার)-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মাকড়দহ বামাসুন্দরীর ছেলেরা। গোল করে সাকিল মণ্ডল ও মিঠুন মালিক। ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয় মিঠুন। |
|
নবম শ্রেণির ছাত্র, চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক সাকিল বলল, “গত বছর জগাছা স্কুলের কাছে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হেরেছিলাম। এ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভাল লাগছে।” মাকড়দহ ইউনিয়নের মাঠে কোচ শেখ সিকন্দরের কাছে অনুশীলন করা ছেলেটির লক্ষ্য বড় ফুটবলার হওয়া।
চ্যাম্পিয়ন দলের ক্রীড়া শিক্ষক সুদীপ মালিক বললেন, “সাধারণ ঘরের ছেলেদের নিয়ে স্কুল। এত দিন নিজেদের কোনও খেলার মাঠ ছিল না। ছেলেরা কবাডি, ফুটবল, ভলিবলে নিয়মিত অংশ নেয়। সম্প্রতি খেলার মাঠের জন্য একটি জমি কিনেছে স্কুল। মাঠটি তৈরি হলে ছেলেদের খেলতে সুবিধে হবে।” ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষি ও বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়, জেলার প্রাক্তন ফুটবলার জহর দাস, মনোজিৎ দাস, ভুবন চট্টোপাধ্যায়, বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং বর্তমান বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদার প্রমুখ।
|
ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|