মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র সংসদের সম্পাদক সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামকের দফতরের কয়েক জন কর্মী। এই অভিযোগে শুক্রবার পরীক্ষা নিয়ামক সুকুমার মুখোপাধ্যায়কে ঘণ্টাখানেক ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি )। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল সমথির্র্ত কর্মচারী সমিতির সভাপতি বাসুদেব সিংহ রায়ের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ‘মন্তব্যকারী’দের হয়ে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের স্টেটমেন্ট বিভাগের সুপারিনটেন্ডেন্ট অরুণ চট্টোপাধ্যায় ক্ষমা চেয়ে নিলে ঘেরাও তোলে টিএমসিপি। সুকুমারবাবু বলেন, “ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে দিকে নজর রাখা হবে।” |
ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ। ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ জানান, কয়েক জনকে নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের স্টেটমেন্ট সেকশনে গিয়ে তিনি জানতে চান, যাঁরা এখনও স্নাতক পার্ট -১ পরীক্ষার ফর্ম জমা দিতে পারেননি, তাঁরা কি কলেজের অধ্যক্ষের চিঠি নিয়ে এলে তা করতে পারবেন? স্টেটমেন্ট বিভাগের কর্মীরা তাঁদের বলেন, সে ক্ষেত্রে কলেজের এক কর্মীকে ছাত্র বা ছাত্রীর সঙ্গে ওই বিভাগে আসতে হবে। সন্তুবাবু দাবি করেন, শুক্র ও শনিবার ওই ছাত্র -ছাত্রীদের জন্য ফর্ম জমা দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। কলেজ থেকে কোনও কর্মীকে সঙ্গে আনতে গেলে যথেষ্ট সময় লাগবে। তত দিনে ফর্ম জমার সময় পার হয়ে যাবে। তাঁর অভিযোগ, “এর পরেই কর্মীরা গালিগালাজ করেন। জানিয়ে দেন, এ সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো সময় তাঁদের কাছে নেই। বচসা চলাকালীন স্টেটমেন্ট সেকশনের দু’-তিন জন কর্মী আমাদের বলেন, আমাদের সরকার বা নেত্রী দেখিও না। কে কেমন তা জানা আছে।”
এই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামককে ঘেরাও করেন সন্তুবাবুরা। ওই কর্মচারীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানাতে থাকেন তাঁরা। প্রথমে স্টেটমেন্ট বিভাগের কর্মচারীরা ‘অপরাধ’ স্বীকার করেননি। পরে ছাত্রদের চাপের মুখে ক্ষমা চান অরুণবাবু। |