পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করলেন এক আইনজীবী। শুক্রবার আসানসোলের এসিজেএম আদালতে রানিগঞ্জের ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।
জামুড়িয়ার মণ্ডলপুরের আইনজীবী সুবোধ বাউরির অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ে ওসি (ট্রাফিক) সাবির আব্বাস, এএসআই ইকরামুল হক-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী তাঁকে আটকে মোটরবাইকের কাগজপত্র দেখতে চান। বাড়ি থেকে কাগজ এনে দেখানোর জন্য কিছু সময় চান সুবোধবাবু। কিন্তু সেই অনুরোধে কান না দিয়ে বাইকের চাবি কেড়ে নেন ওই পুলিশকর্মীরা। তাঁকে ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। তাতে তাঁর সোনার হার ও টাকা-পয়সা মাটিতে পড়ে যায়, যা পরে আর খুঁজে পাননি বলে সুবোধবাবুর অভিযোগ।
ওই আইনজীবীর আরও অভিযোগ, তাঁর বাইকটি নিয়ে পুলিশ আমরাসোঁতা ফাঁড়িতে চলে যায়। সেখানে নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার পরেও সাবির আব্বাস তাঁর হাতে বাইক ও নথি বাজেয়াপ্ত করার কাগজ ধরাতে চান। সুবোধবাবু বলেন, “আমি বাইক না নিয়েই ফিরে আসি। পুরো ঘটনা জানিয়ে মামলা দায়ের করেছি।”
অভিযুক্ত ওসি (ট্রাফিক) বলেন, “এ ব্যাপারে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।” আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে জেনেছি, অভিযোগকারী নথিপত্র নিয়ে ফাঁড়িতে গেলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট সঙ্গে ছিল না। তাঁরা মোট তিন জন বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। চালাচ্ছিলেন দ্রুত গতিতে। এ সব বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে।” |