টুকরো খবর
পড়ে মৃত্যু
মোবাইলে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে জখম এক যুবকের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতার পিজি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ কর্মকার (২২)। তাঁর বাড়ি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর দৈনিক বাজার এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে লোডশেডিং চলাকালীন মোবাইলে কথা বলার সময় পড়ে যান তিনি। রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল থেকে মালদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভর্তি করানো হয় কলকাতায় পিজিতে। বৃহস্পতিবার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গভীর রাতে মারা যান বিশ্বজিৎ।

শিক্ষক খুনে স্ত্রী গ্রেফতার
শিক্ষক স্বামীকে খুনের ঘটনার জড়িত সন্দেহে দেড় বছর পর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজার থানার সর্বমঙ্গলাপল্লি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অর্চনা চক্রবর্তী। ওই দিনই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। মালদহের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। ২০১০ সালে অক্টোবর দুর্গাপুজোর সময়ে ধৃতের স্বামী, শিক্ষক সুনন্দ চক্রবর্তীর রক্তাক্ত দেহ বাড়ি থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “শিক্ষক খুনের তদন্তে নেমে নানা তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তারই ভিত্তিতে নিহত শিক্ষককের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টমীর সকালে বাড়ির দোতলায় দেহটি উদ্ধারের পর নিহতের মা মঞ্জু চক্রবর্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সকালে পরিচারিকা চা দিতে গিয়ে শোওয়ার ঘরে সুনন্দবাবুর দেহটি দেখেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক খুনের মামলা রুজু করে। পুলিশের অনুমান ছিল, অতিরিক্ত মদ্যপানে নেশার ঘোরে তিনি পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে মারা গিয়েছেন। পরে মঞ্জুদেবী খুনের অভিযোগ জানান পুলিশকে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।

দেহ উদ্ধার
কৃষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার সোনাপুরের জিয়াখুড়ি খালপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম অনিল কুমার সিংহ (৪০)। অনিলবাবুর ভাই দীনেশ সিংহের দাবি, “দাদা তিন মাস আগে ছোট চা বাগানের জন্য চোপড়ার হাফতিয়াগছের একটি ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দাদার চা বাগানে বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই কারণেই আত্মহত্যা করছেন বলে মনে হচ্ছে।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনিলবাবু বাড়ি থেকে বেরোন। শুক্রবার ভোরে বাড়ি থেকে মাত্র আধ কিমি দূরে তাঁর দেহ ঝুলন্ত দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের অনুমান, অনিলবাবু বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তা ছাড়া, অবসাদগ্রস্ত হয়ে মদে আসক্ত হয়ে পড়েন বলে পুলিশকে কয়েক জন প্রতিবেশী জানান। অনিলবাবুর ৪ বিঘার চা বাগান রয়েছে। তাতে ভাল পাতা আসা শুরু হয়েছিল।

বাসের দাবি
স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধা অবিলম্বে বাস চালানোর দাবিতে সোচ্চার হল হলদিবাড়ি থানার হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা শুক্রবার বিকেলে হলদিবাড়ির বিডিওর কাছে দেওয়ানগঞ্জ থেকে সিঞ্জার হাট পর্যন্ত বাস চালানোর দাবিতে একটি স্মারকলিপি দিল ছাত্রছাত্রীরা। তাদের দাবি সকাল দশটা এবং বিকেল চারটের সময় দুটো বাস দেওয়ানগঞ্জ থেকে সিঞ্জার হাট পর্যন্ত চালানোর ব্যাবস্থা করতে হবে কারণ ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা দেওয়ানগঞ্জ এলাকার তিনটি স্কুলে পড়তে আসে। হলদিবাড়ির বিডিও দিব্যেন্দু মজুমদার বলেন, “বাস চালানোর জন্যে এনবিএসটিসি এবং বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

ধর্ষণে জেলে ২
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের দায়ে হাইস্কুলের এক পার্শ্ব শিক্ষক-সহ দুই জনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মালদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ষষ্ঠ ট্র্যাক) প্রবীর কুমার মিশ্র ওই রায় দিয়েছেন। আদালত সূত্রের খবর, সাজাপ্রাপ্ত ওই পার্শ্ব শিক্ষকের নাম গোবিন্দ তরফদার ও কাজল সরকার। ব্যবসায়ী কাজল গোবিন্দের বন্ধু। বাড়িতে সাজেশন দেওয়ার নাম করে ডেকে এনে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। শুক্রবার রায় ঘোষণা করার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রীর বাবা। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের যারা সবর্নাশ করেছে। তাদের সাজা হওয়ায়, এই ধরনের কাজ করতে কেউ সাহস পাবে না।” গাজলের ময়না হাইস্কুলের সংস্কৃতের ওই পার্শ্বশিক্ষক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে সাজেশন দেওয়ার জন্য বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দুই বান্ধবীকে নিয়ে ওই ছাত্রী পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে যায়। সরকারি আইনজীবী নিখিল বিহারী গুপ্ত জানান, সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর বান্ধবীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে তিনি জোর করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বাড়ি অন্য একটি ঘরে আটকে রাখেন। সেখানে আগে থেকেই আর এক সাজাপ্রাপক কাজল সরকার আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ছাত্রীর বাবা মাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।

ছাত্রীর মৃত্যু
ট্যাক্সির ধাক্কায় মৃত্যু হল নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বংশীহারি থানার কুশকারি এলাকার রাজ্য সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সান্ত্বনা রায় (১৪)। জখম অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্থানীয় রসিদপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। কুশকারি হাইস্কুলের ওই দুই ছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে ট্যাক্সিটি ধাক্কা দিয়ে পালায়।

সংখ্যালঘুদের পাশে প্রশাসন
দক্ষিণ দিনাজপুরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের ভবন তৈরির উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার বালুরঘাটের প্রশাসনিক ভবন চত্বরে ওই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রসঙ্গে বাম সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বলেন, “৬ মাসের মধ্যে এই ভবন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করবে পূর্ত দফতর।” ছিলেন হরিরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিপ্লব মিত্র। রাজ্য সরকার ভবন তৈরি বাবদ ৭২ লক্ষ ৮৫২০০ টাকা মঞ্জুর করেছে। জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামী বলেন, “ভবন তৈরি খাতে ৩৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.