পুলিশ-কর্মীর নামে নালিশ
কেপমারির অভিযোগ জানাতে গিয়ে গঙ্গারামপুর থানার আইসির হাতে এক ব্যবসায়ীকে হেনস্থা হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বালুরঘাটে গিয়ে ওই ব্যবসায়ী উত্তম কুমার বসাক জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়ে আইসি সত্যব্রত বাগচীর বিরুদ্ধে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন। ঘটনার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের আইজি এবং ডিআইজিকে। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ গঙ্গারামপুরের এসডিপিওকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। অভিযোগ সত্যি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ব্যবসায়ী জানান, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টা নাগাদ কেপমারির ঘটনা ঘটে গঙ্গারামপুর শহরে। স্থানীয় দুর্গাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী উত্তমবাবু ব্যাঙ্ক থেকে ৪৬ হাজার টাকা তুলে বাইকের বাক্সে রেখে একটি দোকানে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে গিয়ে দেখেন বাইকের বাক্স ভাঙা। টাকা নিয়ে এক দুষ্কৃতীকে পালাতেও দেখেন তিনি। স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে দুষ্কৃতীর পিছু ধাওয়া করেন তিনি। দুষ্কৃতীকে তাঁরা ধরতে পারেননি। তিনি গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ জানাতে যান। উত্তমবাবু বলেন, “ডিউটি অফিসার অভিযোগ নিতে রাজি হননি। চুরির বদলে ‘টাকা হারিয়ে’ গিয়েছে বলে না-লিখলে অভিযোগ নেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে ডিউটি অফিসার অভিযোগ পত্রটি ছিঁড়ে ফেলেন। তার কথা মতো টাকা ‘হারানোর’ অভিযোগ লিখতে বলেন। বাধ্য হয়ে ওই অভিযোগ লিখিয়ে নিয়ে আমাকে তিন দিন পর থানায় দেখা করতে বলা হয়।” উত্তমবাবুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থানায় গেলে আইসি তাঁকে বিষয়টি নিয়ে চরম অপমান করেন। টাকা হারানোর ঘটনাকে কেন টাকা চুরি বলে অভিযোগ করতে চেয়েছি, তা নিয়ে আমাকে অশিক্ষিত বলে আইসি ধমক দেন। গঙ্গারামপুর থানার আইসি সত্যব্রত বাগচি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এমন ঘটনা ঘটেইনি। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার কখনও দেখাই হয়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.