দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তুফানগঞ্জের নাটাবাড়ি অঞ্চল কমিটির এক নেতাকে বহিস্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার তুফানগঞ্জ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব ওই বহিস্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নেতার নাম হেমেন সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজিতে মদত দেওয়া, বেআইনি ভাবে রাস্তার ধারের গাছ কাটা, নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করার মত বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন দলেরই একাংশ। বৃহস্পতিবার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নাটাবাড়িতে যান তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া ও কয়েকজন নেতা। নাটাবাড়ি অঞ্চল কমিটির নেতাদের সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। সেখানেই হেমেনবাবুকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া বলেন, “তোলাবাজি, বেআইনি ভাবে গাছ কাটা সহ বিভিন্ন ব্যাপারে মদত দেওয়ার অভিযোগে দলের নাটাবাড়ির ওই কোর কমিটির সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরেও তিনি না শোধরানোয় বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” নাটাবাড়ির বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “হেমেনবাবুকে বহিস্কার করা নিয়ে ব্লক নেতৃত্বের রিপোর্ট পেয়েছি। দলে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বহিস্কারের ওই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করেছেন হেমেনবাবু। তাঁর দাবি, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “কয়েকমাস আগে নাটাবাড়ি হাইস্কুলে ১৪ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগের নামে ব্যাপক টাকার খেলা হয়। তাতে অঞ্চল, ব্লক, জেলা কমিটি কিছু নেতা ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য ভাগ পান। আমি সে সময় তার প্রতিবাদ করায় বিষ নজরে পড়েছি। সে জন্যই আমাকে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওই নেতারা। তা ছাড়া বহিস্কারের আগে কোনও শোকজ করা হয়নি। সতর্ক করার বিষয়টিও ভিত্তিহীন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে সব জানাব।” পাশাপাশি শনিবার নাটাবাড়ি বাজার চত্বরে ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মহামিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হেমেনবাবুর অনুগামীরা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অবশ্য বলেন, ‘‘রবিবার এলাকায় সভা করে আমরা ওর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগের কথা তুলে ধরব।” |