ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে ছাত্র ব্লকের নেতারা সংগঠনের তিন সদস্যকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তুলে মেখলিগঞ্জে পরিবহণ ধমর্ঘট করল ইনটাক। শুক্রবার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মেখলিগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। দিনভর নাকাল হন এলাকার বাসিন্দা ও নিত্যযাত্রীরা। দুর্ভোগে পড়েন স্নাতক স্তরের পরীক্ষার্থীরাও। বিকেলে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবশ্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ইনটাকের অভিযোগ, “ফরওয়ার্ড ব্লকের ছাত্র সংগঠনের একদল সমর্থক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়শই গোলমাল করছেন। ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সংগঠনের তিন সদস্য ছোট গাড়ির চালককে মারধর করা হয়েছে। ছাত্র ব্লক নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “ছোটগাড়ির চালকদের সঙ্গে কয়েকজন ছাত্রের বচসা হয়েছিল। তার জেরে কিছু ছাত্র এক চালককে মারধর করেছে অভিযোগ। এর পরে চালকেরা এদিন আন্দোলনে নামলে সমস্যা হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে ছোট গাড়ির এক চালকের সঙ্গে মেখলিগঞ্জ কলেজের এক ছাত্রের গোলমাল হয়। ওই চালক ছাত্রটি ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। গত বুধবার মেখলিগঞ্জ কলেজের ছাত্র সংসদ সম্পাদক তথা ছাত্র ব্লকের নেতা সাহিন সরকারের নেতৃত্বে কলেজের সামনে পথ অবরোধ হয়। গোলমালে অভিযুক্ত চালক ছোট গাড়ি নিয়ে পৌঁছতেই দুইপক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। ইনটাকের অভিযোগ, সেই সময় ছাত্র সংসদের সম্পাদক ও অনুগামীরা চালককে মারধর করে। বৃহস্পতিবারেও অন্য এক চালককে ফের মারধোর করা হয়। শুক্রবার সকালে চ্যাংরাবান্ধায় ছাত্র ব্লকের এক দল সমর্থক আরও এক চালককে মারধর করেন। ইনটাকের মেখলিগঞ্জ ব্লক সভাপতি মায়াশংকর সিংহ বলেন, “তিনদিন পরপর তিন চালককে ছাত্র ব্লকের ছেলেরা মারধর করে। খোদ কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ডাকতে বাধ্য হই। পরে পুলিশের আশ্বাসে আপাতত তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
ছাত্র ব্লক নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি। ছাত্র ব্লকের মেখলিগঞ্জ কলেজের সাধারণ সম্পাদক সাহিন সরকার বলেন, “ছোট গাড়ির চালকেরা ছাত্রদের ভাড়ায় ছাড় দিচ্ছেন না। উল্টে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। তা নিয়ে রোজ গোলমাল হচ্ছে। এক ছাত্রকে হেনস্থাও করা হয়েছে। তবে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি মিটিয়েও গিয়েছিল। তার পরে কেন আন্দোলন হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। |