রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে বলে অভিযোগ করলেন মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর মালা রায়। শুক্রবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে সংগঠনের রাজনৈতিক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে ওই কথা বলেন মালা দেবী। তিনি বলেন, “রাজ্যে একটা তালিবানি সরকার চলছে। হাফচটি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডাও হুমকি দিচ্ছে কলেজে চাকরি করলে সিপিএম করা যাবে না। তৃণমূল করা যাবে। একের পর এক ঘটনা ঘটছে। মাজদিয়া, রায়গঞ্জে, ভাঙরে। তৃণমূলের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকলে বলা হচ্ছে ছোট ছেলেমেয়ে। তিলক চৌধুরীকেও ছোট ছেলে বলা হচ্ছে। এটা মানা যায় না।” |
তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের কোথাও মহিলারা নিরাপদ নয়। সর্বত্র মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। পুলিশ অভিযোগ নিতে চাইছে না। তিনি বলেন, “পার্ক স্ট্রিট ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলে দিচ্ছে সাজানো ঘটনা। পুলিশ বলছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে। কালিঘাটে এক মহিলার অভিযোগ পুলিশ নিতে চাইনি। কারণ, তাঁর স্বামীর বাড়ির লোকজন তৃণমূল ঘনিষ্ট। কলাকাতা শহরের বুকে মহিলারা ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে। কাটোয়ায় মহিলার উপরে অত্যাচার হয়েছে। কোনও নিরাপত্তা নেই। কিছু পুলিশ অফিসার আছেন যারা ভাল কাজ করতে চান। কিন্তু দময়ন্তী সেনের ঘটনার পর আর কেউ ভাল কাজ করার সাহস পাচ্ছেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর ১০ মাসে ৫ বছরের কাজ শেষ হওয়ার ঘোষণা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, “সব কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলা হচ্ছে। এটা কী করে সম্ভব।” এদিন মহিলা কংগ্রেসের সভায় সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী মৈত্রেয়ী সাহা উপস্থিত ছিলেন। তিনি কর্মীদের সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “জোটে অনেক ব্যথা আছে। সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে জানিয়েছি। হাইকমাণ্ড যত দিন বলবেন তত দিন জোটে থাকতে হবে বলে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য অন্য কোনও পথ নেই। কর্মীরা ঘরে ঘরে যান সাধারণ মানউষকে বোঝান। প্রয়োজনে গ্রামে গ্রামে হাতের কাজ, রান্নার উপরে ছোট ছোট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। তাহলে জনসংযোগ বাড়বে। ঈর্ষার রাজনীতি ছেড়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।” এদিনের সভায় জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার, পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত উপস্থিত ছিলেন। টেবল টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষ এবং অঙ্কিতা দাসকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অঙ্কিতার কাকা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস কুৎসা করছে বলে অভিযোগ করেন। |