কেন্দ্রীয় সরকারের রাজীব আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি। বস্তিমুক্ত শহর তৈরির ওই প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের দুই পাশাপাশি শহরের অন্তর্ভুক্তির কথা চলতি সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জানিয়েছেন। |
সাংবাদিক সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র। |
মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “বিগত সরকারের সময়েও এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তখন শুধু শিলিগুড়ির কথা বলা হয়েছিল। কেন্দ্র সে সময় প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। পরবর্তীতে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ফের প্রস্তাব পাঠানো হয়। আমি জলপাইগুড়ি জেলার থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি। জলপাইগুড়ি শহরকেও প্রস্তাবে রাখি। রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি দুই শহরকেই প্রকল্পভুক্ত করেছে।” শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজার জন্য উত্তবরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে গত সেপ্টেম্বর মাসেই জহরলাল নেহেরু জাতীয় শহর পুর্নগঠন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নগর পরিকল্পনা মন্ত্রকে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হতে চলায় সেই সময়ে দুই শহরকে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয় বলে কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প রাজীব আবাস যোজনায় দুই শহরে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব পাঠায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। দীর্ঘ আট মাস ধরে দফায় দফায় চিঠি আদানপ্রদানের পরে গত ২০ এপ্রিল কেন্দ্রের নগর উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে অন্তর্ভুক্তির কথা জানানো হয়েছে। রাজীব আবাস যোজনায় অন্তর্ভুক্তির ফলে দুই শহরের ঘিঞ্জি বস্তি এলাকাগুলি সংস্কার করে নতুন আধুনিক পাকা আবাসন গড়ে তোলা হবে। শহরের সৌন্দর্য্যকরণ প্রকল্পের কাজও করা হবে। পাশাপাশি অনান্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজও এই প্রকল্পে সম্ভব হবে বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গৌতমবাবু বলেন, “সুখবরটি জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু এবং শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তকে। এদিন মোহনবাবুকে সাংবাদিক বৈঠকে থাকতে অনুরোধ করেছিলাম। উনি কলকাতায় থাকায় তা পারেননি।” |