পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে সিপিএমের এক মহিলা প্রধানকে গালিগালাজ করা এবং পদত্যাগের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ইন্দাসের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ইন্দাসের রোল পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের রিজিয়া খাতুন এই মর্মে শুক্রবার থানায় তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক গৌতম বেরার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এই অভিযোগ ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে দাবি করেছেন গৌতমবাবু। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া খাতুনের দাবি, বাগিচাবাঁধ গ্রামে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক তৃণমূল কর্মী পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সেখানে ওই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে প্রধানের বচসা বাধে। তাঁর অভিযোগ, “তিনি আমার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করতেই স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। এরপর ওই তৃণমূল কর্মী ফোনে তৃণমূল নেতা গৌতম বেরাকে ঘটনাটি জানান। এরপর গৌতম বেরা তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে পঞ্চায়েতে এসে আমাকে গালিগালাজ করেন। সাতদিনের মধ্যে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা না দিলে গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেন।” তাঁর আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে তিনি মোটরবাইকে ইন্দাস থানায় অভিযোগ করতে যান। ইন্দাসের সত্যপীরতলার কাছে ওই তৃণমূল নেতা তাঁদের পথ আটকে হুমকি দিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠান। এ দিন তিনি পঞ্চায়েতে না গেলেও থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, ইন্দাসের বিডিওকে পুরো ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের টিপ্পনী, “পঞ্চায়েত দখল করার জন্য তৃণমূলের নেতারা এখন যে কতটা নীচে নামতে পারে এই ঘটনা তারই প্রমাণ। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।” তৃণমূল নেতা গৌতমবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, “প্রধানই আমাদের দলের কর্মী সনাতন ঘোষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বহিরাগতদের ডেকে এনে তাঁকে মারধরও করান। খবর পেয়ে আমি পঞ্চায়েতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাই। প্রধানকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার পরামর্শ দিলে তিনি সিপিএমের প্রধান বলে আমাদের কথা শুনবেন না বলে জানান। অথচ তিনিই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করলেন।” |