একশো দিনের কাজের প্রকল্পে নির্ধারিত মজুরির থেকে কম মজুরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া ২ ব্লকের পিঁড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকদের মজুরির টাকা পোষ্ট অফিসের অ্যাকাউন্টে জমা না করে তাঁদের নগদে দেওয়া হয়েছে বলে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রমিকেরা।
মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পযর্ন্ত ওই পঞ্চায়েত এলাকার লোহারশোল গ্রাম থেকে চাকিরবন পর্যন্ত মোরাম রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ওই কাজের শ্রমিকদের একাংশ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, কাজের শেষে তাঁদের নির্ধারিত মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক কিরীটি পরামানিক, অম্বিকা মাহাতো, শ্রীপতি বাউরি, বিকাশ মাহাতোদের অভিযোগ, “আমাদের ৭০ টাকা মজুরি দেওয়া হয়েছে। |
এই রাস্তা সংস্কারের কাজ করে মজুরি কম পাওয়া নিয়ে ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা। ছবিটি তুলেছেন সুজিত মাহাতো। |
অথচ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে শ্রমিকদের নির্ধারিত মজুরি হল ১৩০ টাকা।” পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান শশাঙ্ক কুইরি বলেন, “শ্রমিকদের অভিযোগ পেয়েছি। ওই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজারের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।” সুপারভাইজার রাজেশ মাহাতোর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর বাবা দ্বিজপদ মাহাতো বলেন, “কাজটা রাজেশের নামে থাকলেও গ্রামে আমরা সকলে মিলেই কাজের দেখভাল করি। ওই কাজে যত শ্রমিকের প্রয়োজন, তার থেকে বেশি শ্রমিক কাজে যোগ দেওয়ায়. নির্ধারিত মজুরির থেকে কম টাকা পেয়েছেন।” তবে তাঁদের নগদে কেন টাকা দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাখ্যা তিনি দেননি। তাঁর দাবি, “কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক রঞ্জিত চেল বলেন, “আমি ওই রাস্তায় কাজের মাপজোক করতে গিয়েছিলাম।. যতখানি কাজ হয়েছে, ততটাই পরিমাপ করে আমি রিপোর্ট দিয়েছি।”. প্রধান বলেছেন, এই প্রকল্পে বিধি মোতাবেক হাতে হাতে মজুরির টাকা দেওয়া যায় না। আমি সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলব। |