মরণোত্তর চক্ষুদানের প্রচারে দেশের নানা প্রান্ত ঘুরেছিলেন। নিজেও চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির চয়ন মণ্ডল (২৩)। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনেই গাছ চাপা পড়ে তাঁর মৃত্যু হল। অঙ্গীকারমতো তাঁর চোখ দু’টি সংগ্রহ করল কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। চয়ন ওই সংস্থারই সদস্য ছিলেন। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উস্তি থানার উস্তি গ্রামেই বাড়ি চয়নের। ছোটবেলা থেকেই তিনি বেড়াতে ভালবাসতেন। বিএ পাশ করার পরে ২০১০ সালে তিনি কলকাতার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় যুক্ত হন। তার পরেই মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। ওই বছরেরই নভেম্বরে তিনি এ নিয়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে সাইকেলে বেরিয়ে পড়েন। দেশের নানা প্রান্ত ঘোরেন। ফেরেন চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি। নানা জায়গা থেকে সংবর্ধনা পান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ির পিছনে একটি মাঠে চয়ন বসেছিলেন। সেই সময় ঝড়ে একটি নারকেল গাছ উপড়ে চয়নের উপরে পড়ে। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্তা বলেন, “মৃত্যুর পর কী ভাবে এবং কোথায় চোখ দান করা যায়, তা অনেকেই জানেন না। তা ছাড়া কুসংস্কারও রয়েছে। এ সব ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করতেই চয়ন প্রচারে বেরিয়েছিলেন।” মৃতের বাবা অনন্তবাবু বলেন, “ছেলে কত জায়গা ঘুরে এল। কিছু হল না। বাড়ির কাছেই যে এ ভাবে অপঘাতে ওর মৃত্যু হবে ভাবতে পারছি না।”
|
সম্পত্তির লোভে গাছের সঙ্গে মা’কে বেঁধে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে ওই মহিলার দুই ছেলে এবং এক প্রতিবেশিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার জেলিয়াখালির খ্রিস্টানপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেনুকা বৈদ্য নামে অগ্নিদগ্ধ ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে আনন্দ ও বিনন্দ বৈদ্যর সঙ্গে তাদের মায়ের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। দুই ছেলেই ক্যানিংয়ে থাকে। মাঝে মাঝেই বাড়িতে এসে মা’র উপর নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও প্রতিবেশী কানাই হালদারকে সঙ্গে নিয়ে দুই ভাই মা’য়ের উপর চড়াও হয়ে মারধরের পর বাড়ির কাছে একটি গাছে বেঁধে গায়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে।
|
সাত বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ-বিএসএফের যৌথ বাহিনী। ধৃতদের মধ্যে এক জন গরু পাচারকারী বলে পুলিশের দাবি। ১০টি গরু আটক করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগরের খলসি সীমান্তে বৃহস্পতিবার রাতে পাহারা দেওয়ার সময়ে ১৫২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের হাতে ধরা পরে বাংলাদেশি পাচারকারী। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার পোটাখালি গ্রামে। তার কাছ থেকে ১০টি গরু আটক করা হয়। এ ছাড়া দুই দালাল-সহ ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। |