কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে শুক্রবার বিভিন্ন মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ১৯ জনের।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা নিয়ে সালিশি সভায় বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে সকলের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ২০০১ সালের ২৯ নভেম্বরের ওই ঘটনায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রথম আদালত শম্পা দত্তপাল। শুক্রবার তিনি নাকাশিপাড়ার ব্রাহ্মণীতলার বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস, জয়ন্ত বিশ্বাস, বিশ্বনাথ বিশ্বাস, কৃপানাথ বিশ্বাস, মহাদেব বিশ্বাস, নেড়া বিশ্বাস, দুলাল বিশ্বাস, প্রার্থনা বিশ্বাস ও কালীপদ বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সরকারি আইনজীবী গৌতম ভৌমিক বলেন, “দু’পক্ষের বিবাদের জেরে সালিশি সভায় মধ্যস্থতা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। পরের দিন প্রকাশ্যে রবীন্দ্রনাথবাবুকে কুপিয়ে খুন করা হয়।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই দিনই নিহতের স্ত্রী মেনকা বিশ্বাস নাকাশিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তৃতীয় আদালতের অঞ্জলি সিংহ। শুক্রবার তিনি কোতোয়ালির বাসিন্দা হৃদয় ঘোষ, পূর্ণ ঘোষ, ভবন ঘোষ, বাণেশ্বর মাঝি, সন্ন্যাসী বাগ, শুকদেব বাগ ও মধুসূদন ঘোষকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী গৌতম ভৌমিক বলেন, “ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে এই খুন। ওই বছর ২৯ মে রাতে বাবু ঘোষ দুধ বিক্রি করতে বাইরে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে তাঁর দাদা উৎপল ঘোষকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, বাবু ঘোষকে খুন করে দেওয়া হবে। পরের দিন সকালে ওই দুধ বিক্রেতার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।” এ দিনই খুনের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক অঞ্জলি সিংহ। নাকাশিপাড়ার ভোলাডাঙার বাসিন্দা আলম আলি, ইন্নাচ শেখ ও ইজারুল শেখের সাজা ঘোষণা করেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালের ১১ জুন ভোলাডাঙার প্রাথমিক স্কুলের মাঠে হরিদ্রাপোতার বাসিন্দা তোতা শেখ খুন হন। সরকারপক্ষের আইনজীবী শঙ্কর পাল বলেন, “ঘটনার দিন দুপুরে ভোলাডাঙা প্রাথমিক স্কুলের মাঠে লুঠপাট চালাচ্ছিল আলম, ইন্নাচ ও ইজারুল। খবর পেয়ে তোতা শেখ ঘটনাস্থলে যান। লুঠপাঠের প্রতিবাদ করেন। ওই তিন জন তোতা শেখকে কুপিয়ে খুন করে।” |