বাবা-মায়ের কাছে যেতে অস্বীকার করায় এক নাবালিকাকে ফের ফিরিয়ে নিচ্ছে বহরমপুরের শিলায়ন হোম। গত বছর পরিবারের অমতে বিয়ে করার পরে নবগ্রাম থানার কিরীটেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের গড়সামার গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকার বাবা উত্তম মণ্ডল তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ সেই সময়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করার পরে আদালত তাকে হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। তখন থেকেই ওই নাবালিকা শিলায়ন হোমে ছিল। উত্তমবাবুরা অবশ্য তারপর থেকে বারবারই মেয়েকে তাঁদের হেফাজতে দিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাতে থাকেন। সেই আর্জি মঞ্জুরও করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি। সেই মতোই এই দিন ওই কিশোরীকে শিলায়ন থেকে নিয়ে উত্তমবাবুরা গাড়ি করে যাচ্ছিলেন বর্ধমানে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়ি। শুক্রবার সকালে বহরমপুর থেকে বেরিয়ে দেবগ্রামের কাছে তাঁদের গাড়ি পৌঁছতেই ওই কিশোরী গাড়ি থেকেই চিৎকার করতে থাকে। তা শুনতে পেয়ে দেবগ্রাম এলাকার সাধারণ মানুষ গাড়ি থামান। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে তাঁদের কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘‘নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার পুলিশ ফোনে এ দিনের ঘটনার কথা সবিস্তারে জানিয়েছে। ওই নাবালিকা তার বাবা মায়ের কাছে ধাকবে না বলে জেদ ধরেছে। তাই তাকে ফের শিলায়ন হোমে পাঠানোর জন্য পুলিশকে বলেছি।” বহরমপুরের ওই হোমের সঙ্গে কালীগঞ্জের পুলিশ যোগাযোগ করেছে। হোমের সুপার শোভা গোস্বামী বলেন, “এ দিনের ঘটনার কথা কালীগঞ্জের পুলিশ ফোনে আমাদেরও জানিয়েছে। আদালতের রায়ে ওই কিশোরীকে হোমে রাখা হয়েছিল। সি ডব্লিউ সি-র রায়ে তাকে তার বাবা-মায়ের হাতে এ দিন সকালে তুলে দেওয়া হয়। ফের সি ডব্লিউ সি-র নির্দেশে তাকে হোমে রাখা হবে।” সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ওই নাবালিকাকে তার সহায়ক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতেই বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সে যখন কোনও মতেই বাবা-মায়ের কাছে থাকবে না বলে জেদ ধরে আছে, তখন তাকে ফের শিলায়ন হোমে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।” কালীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা চিৎকার করছিল বলে সাধারণ মানুষ গাড়িটি আটকায়। তারপর তাদের সকলকে থানায় নিয়ে আসা হয়। ওই নাবালিকাকে হোমে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। |