নাবালিকা ‘অপহরণ’, অভিযুক্তদের ধরার দাবি
ক নাবালিকাকে ‘ফুঁসলিয়ে’ নিয়ে পালানোয় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে জেলা-পুলিশের দ্বারস্থ হল গড়বেতার গিলাবনি এলাকার এক পরিবার। মেয়েটি অবশ্য ফিরে এসেছে। শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মেডিক্যাল টেস্টও করানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের একটি দল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতেও গিয়েছিল। কিন্তু তার খোঁজ মেলেনি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরি বলেন, “মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” ঘটনায় ৩ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মূল অভিযুক্ত বাপন মুদি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা। অন্য দুই অভিযুক্ত স্বরূপ পাঁজা ও সিদ্ধার্থ সিংহ থাকে গিলাবনিতেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, গিলাবনির বাসিন্দা আত্মীয় পালিত সিংহের বাড়িতে বছর দেড়েক ধরে থাকত বাপন। স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গেও বাপনের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৭ এপ্রিল পড়তে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে ‘অপহরণ’ করা হয়। এ ক্ষেত্রে বাপনকে সাহায্য করে স্বপন ও সিদ্ধার্থ। কুলতলির ওই যুবক যাঁর বাড়িতে থাকত, সেই পালিতবাবুরই ছেলে সিদ্ধার্থ। সে দিন বিকেলে পুলিশের কাছে পুরো ঘটনা জানানো হয়। রাতে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের একটি দল কুলতলিতে যায়। কিন্তু মূল অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। ১৯ এপ্রিল রাতে এক সূত্র মারফৎ পুলিশ খবর পায়, ‘নিখোঁজ’ দশম শ্রেণির ছাত্রীটি রসকুণ্ডুর জঙ্গলের ধারেকাছে রয়েছে। কে বা কারা তাকে সেখানে ছেড়ে গিয়েছে। রসকুণ্ডুর জঙ্গল-এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ২০ এপ্রিল মেয়েটি মেদিনীপুর আদালতে এসে ‘গোপন’ জবাবনন্দিও দেয়। পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল, বছর চোদ্দর মেয়েটির উপরে শারারিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। সে কারণেই মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছে ‘শাসক’ তৃণমূলের নাম। নিজেদের তৃণমূল সমর্থক দাবি করে নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় যে দু’জন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তারাও তৃণমূল করে। কিন্তু বিষয়টি দলীয়-স্তরে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “শুক্রবার সকালেই শুনেছি। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে দলের বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশই যা করার করবে।”
জেলার পুলিশ সুপার বলেন, “মোট ৩ জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। এর মধ্যে ২ জন স্থানীয়। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.