|
|
|
|
রেলের জমিতে আশ্রম ভাঙতে নোটিস খড়্গপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের নির্মীয়মাণ একটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে নোটিস দিল রেল। ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর শহরের ইন্দা এলাকার গোয়ালাপাড়ায়। রেলের বক্তব্য, পুরো আশ্রমটিই রয়েছে রেলের জমিতে। রেলের অনুমতি না নিয়েই আশ্রমে মন্দির, বাসস্থান তৈরি করা হয়েছে। এ বার নতুন ভবন তৈরি করা হচ্ছে। রেলের সিনিয়ার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার এ কে সাহু বলেন, “অনুমতি না নিয়ে ভবন তৈরি করায় তা ভেঙে ফেলার নোটিস দেওয়া হয়েছে। বিনা অনুমতিতে কেউই রেলের জমিতে কোনও ধরনের কাজ করতে পারেন না।” এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আশ্রমের মহারাজ রীতানন্দজি অনশনের হুমকি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে রেল জমি লিজ দিচ্ছে। অথচ সেবামূলক কাজে বাধা দিচ্ছে। রেল জোর করে নির্মীয়মাণ ভবন ভাঙলে আমরণ অনশন শুরু করব।” রীতানন্দজির দাবি, তাঁরা বারবার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
কিন্তু নানা টালবাহানায় রেল লিখিত কোনও অনুমতি দেয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে রেলের আধিকারিকেরা মৌখিক ভাবে আশ্রম তৈরির কাজ করতে বলেছিলেন। তার উপর ভিত্তি করেই মন্দির ও আবাসন তৈরি করেছেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। ১৯৮৩ সাল থেকে সেই আশ্রম রয়েছে রেলের জমিতে। এ বার আশ্রমের পাশেই প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ভবন তৈরির পরিকল্পনা করেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ। সেখানে গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের রেখে পড়াশোনায় সাহায্য করা, দাতব্য চিকিৎসালয়, অতিথি নিবাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল গত বছরে। কিন্তু গত বছর নভেম্বরে রেল কর্তৃপক্ষ তা ভেঙে দেন। তারপর কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। ফের আশ্রম কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেন। কাজ বেশ কিছুটা এগিয়েও গিয়েছে। সেই খবর পেয়ে রেলের তরফে আশ্রমকে নোটিস দেওয়া হয়। জানানো হয়, ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে হবে। না হলে রেল কর্তৃপক্ষই তা ভেঙে দেবেন। গত ১৮ এপ্রিল এই নোটিস দেখে আশ্রম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাননি। এ দিকে, ২ মে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কথা নোটিসে বলা হয়েছে। তাই এ বার অনশনের পথে যেতে চাইছেন মহারাজ। |
|
|
|
|
|