|
|
|
|
কেশিয়াড়িতে থমকে মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
ব্লক সদরে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে শুরুও হয়েছিল কাজ। কিন্তু তা সম্পূর্ণ হয়নি। যে-ক’টি দোকানঘর তৈরি হয়েছিল, তার বেশিরভাগই এখন বেহাল। দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসছে। অথচ পরিকল্পনা মাফিক কাজ হলে অনেক বেকার যুবকের রোজগারের বন্দোবস্ত হত। যাঁদের অস্থায়ী দোকান রয়েছে, তাঁদের একাংশও স্থায়ী দোকান পেতে পারতেন।
কেশিয়াড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তপন দাস বলেন, “মার্কেট কমপ্লেক্স হলে ভালই হত। যাঁদের অস্থায়ী দোকান রয়েছে, তাঁদের একাংশ স্থায়ী দোকান পেতে পেতেন। তা আর হল কই!” তাঁর কথায়, “বিষয়টি নিয়ে আগে বহুবার বিডিও অফিসে দরবার করেছি। কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছি। প্রতিবারই কর্তৃপক্ষের তরফে শুধু আশ্বাসই মিলেছে।” কেন মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়েছে, সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। কেশিয়াড়ির সিপিএম বিধায়ক বিরাম মান্ডি বলেন, “বেশ কয়েক বছর আগেই ওখানে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিছু সমস্যার জন্যই কাজ এগোয়নি বলে শুনেছি। পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে এই কাজ শুরু হয়। আমার তরফে কোনও সহযোগিতা লাগলে নিশ্চিত ভাবেই করব।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
ব্যবসায়িক দিক থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কেশিয়াড়ি। পাশেই রয়েছে নারায়ণগড়, নয়াগ্রাম, খড়্গপুরের-১ ব্লক। ঘৃতগ্রাম, খাজরা, সাঁতরাপুর, কুসুমপুর, বাঘাস্তি, নছিপুর, কেশিয়াড়ি, লালুয়া ও গগনেশ্বর--রয়েছে এই ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বহু মানুষ দোকান-বাজার করতে রোজ ব্লক-সদরেই আসেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, ছোট-বড় মিলিয়ে সদর এলাকায় প্রায় এক হাজার স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান রয়েছে। কিন্তু বাজার এলাকার উন্নয়নে কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। এক সময়ে বেহাল নিকাশি ঢেলে সাজার তোড়জোড় হয়েছিল। তা-ও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, “বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে। ভারী বৃষ্টি হলে তো রাস্তার জল অনেক দোকানেও ঢুকে যায়।” তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের অভিযোগ, “মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির নামে সরকারি অর্থ নয়ছয় করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। তদন্ত হলেই সব স্পষ্ট হবে।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সাহুর বক্তব্য, “শুরুতে বলা হয়েছিল, মার্কেটের জন্য যাঁরা জমি দেবেন, তাঁদের পরিবারের এক জনকে দোকানঘর দেওয়া হবে। কিন্তু কোথায় কী? যে ক’টি দোকান তৈরি হয়েছে, তার অধিকাংশই দেখভালের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, ২০০৫-’০৬ আর্থিক বছরে পঞ্চায়েত সমিতি-র নিজস্ব তহবিল থেকে বাজার এলাকায় দোকানঘর তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে ৫০টিরও বেশি দোকানঘর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শুরুতে ২৪টি দোকানঘর তৈরি হয়। সেগুলি এখন জীর্ণ।
খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সমিতির অর্থ, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা স্থায়ী সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলেছি।” তাঁর কথায়, “কোথায় সমস্যা, কী ভাবেই বা সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|