নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন ত্রিপুরার রিয়াং শরণার্থীরা। নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রথম দফায় ১৪১টি পরিবারের প্রায় ৭৫০ জন রিয়াং সদস্যের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল গতকাল কাঞ্চনপুরের ধামসাপাড়া শিবির থেকে। অধিকাংশই ফিরলেন না স্বভূমি মিজোরামে। ভেস্তে গেল প্রথম দিনের প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি। ত্রিপুরার ত্রাণ সচিব স্বপন সাহা জানিয়েছেন, ফিরে গিয়েছেন মাত্র একটি পরিবারের দু’জন সদস্যসম্পর্কে তাঁরা স্বামী ও স্ত্রী।
নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মিজোরাম থেকেও একজন এসডিএম, একজন এসডিপিও সহ ১২-১৩ জনের একটি প্রতিনিধি দল উত্তর ত্রিপুরায় এসেছিলেন। ২ মে মিজোরাম থেকে সরকারি প্রতিনিধিরা আবার আসবেন। কারণ নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রত্যাবর্তনের দ্বিতীয় দিন ৪ মে। ওই দিনও সরকারি তরফে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও ধামসাপাড়া রিয়াং শিবিরের ঘটনা জানানো হয়েছে বলে স্বপনবাবু বলেন।
প্রসঙ্গত, কাঞ্চনপুর থেকে এ বার পাঁচ পর্যায়ে ৬৬৯ পরিবারের স্বভূমি মিজোরামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাবর্তন নিয়ে কাঞ্চনপুরে সকাল থেকেই প্রশাসনিক স্তরের প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। ধামসাপাড়া যেন অস্থায়ী সেনা ছাউনিতে পরিণত হয়েছিল। যে সব রিয়াং পরিবারের মিজোরামে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল গত কাল, সে সব পরিবারের মহিলা ও শিশু সদস্যরা এগিয়ে এসে ‘স্বভূমি’-তে ফিরে না যাওয়ার ‘সিদ্ধান্তের’ কথা জানান। |