নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে নাগা জঙ্গিদের সঙ্গে আসাম রাইফেলসের দ্বন্দ্ব মিটল। আসাম রাইফেলস-এর আটকে রাখা অস্ত্র ফেরত দিল নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম)। বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্রও ফেরত দিল আসাম রাইফেলস। জঙ্গি শিবির ঘিরে থাকা জওয়ানরাও সরে গেল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯ এপ্রিল। আই এম সদর দফতর হেব্রনের পথে আসাম রাইফেলসএর একটি ট্রাক ঢুকে পড়েছিল। নিয়মমতো জঙ্গিদের সরকার স্বীকৃত শিবিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর গাড়ি ঢোকা মানা। ‘নিয়ম ভাঙায়’ ট্রাক-সহ পাঁচ জওয়ানকে ‘গ্রেফতার’ করে নাগা জঙ্গিরা। সংঘর্ষবিরতি তত্ত্বাবধায়ক দলের চেয়ারম্যান এন জর্জের হস্তক্ষেপে জওয়ানদের ছাড়া হলেও তাদের অস্ত্রগুলি আটকে রাখে জঙ্গিরা। জওয়ানরাও হেব্রন-সহ আইএম বাহিনীর সবক’টি সরকার স্বীকৃত শিবিরের প্রবেশপথ আটকে দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়, আই-এম বাহিনীর বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র।
আই এম বাহিনী জানিয়েছিল, তাঁদের দুই শীর্ষ নেতা আইজ্যাক চিসি সু ও থুইংলেং মুইভার অনুমতি ছাড়া অস্ত্র ফেরত দেওয়া যাবে না। কিন্তু আসাম রাইফেলস তা মানতে রাজি হয়নি। আই-এম সদর দফতর ক্যাম্প হেব্রন-সহ সবক’টি শিবির ঘিরে ফেলা হয়। আই-এম পাল্টা বিবৃতি পাঠিয়ে হুমকি দেয়, আসাম রাইফেল্সই নিয়ম ভেঙে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। রাজ্য সরকারও বিষয়টিতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করেনি।
এই অচলাবস্থা কাটাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে আসাম রাইফেলসের কাছে বিবাদ মিটিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ আসে। মুইভা ও সু-ও অস্ত্র ফেরতের বিষয়টি নিয়ে হেব্রন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরেই আই এম-এর তরফে আসাম রাইফেল্সের ৪টি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি ইনস্যস রাইফেল, রেডিও, ব্যাকপ্যাক, মোবাইল, শিরস্ত্রাণগুলি ফেরত দেওয়া হয়। গত কাল আসাম রাইফেল্সও জঙ্গিদের কাছ থেকে আটক করা একটি এম ২০ ও একটি ৯ মিলিমিটার পিস্তল, একটি রাইফেল, দুটি একে ৫৬, দুটি দূরবীন, একটি রাইফেল টেলিস্কোপ, মোবাইল, ১৮টি সামরিক পোষাক, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও গুলি ফেরত দেয়। নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে আই এম শিবির ঘিরে রাখা জওয়ানদেরও ধীরে ধীরে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। |