সরকারি পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে অপরাধের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। ভীতি প্রদর্শন, অপহরণ, চুরি-ডাকাতি ও খুনের সঙ্গে বাড়ছে সম্পত্তি-বিরোধ সংক্রান্ত হানাহানির ঘটনাও। এই সঙ্গেই উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে চলেছে ইভ-টিজিং, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, টেলিফোনে কু-প্রস্তাব এবং যৌন নিগ্রহ। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ মোকাবিলায় এ বার বিশেষ ‘হেল্পলাইন’ চালু করল পুলিশ।
মূলত মহিলা সংক্রান্ত অপরাধ মোকাবিলায় দ্রুত পুলিশি সহযোগিতা দিতেই চালু করা হয়েছে টেলিফোনের এই বিশেষ হেল্পলাইনটি। নম্বরটি হল ৯৪৩১৭০০০০৩। যে কোনও রকম বিপদে পড়লে এই নম্বরে ফোন করে মহিলারা পুলিশি সাহায্য পাবেন। পুলিশের দাবি, ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকছে ওই হেল্পলাইন। ইতিমধ্যেই ওই নম্বরে বেশ কয়েকটি ফোন এসেছে অভিযোগ জানাতে।
এ ছাড়াও রাঁচির বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিং সেন্টার সংলগ্ন এলাকার পথঘাটে পুলিশ আধিকারিকদের টেলিফোন নম্বর লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশ অফিসারদের টেলিফোন নম্বর লেখা বোর্ড টাঙানো হচ্ছে ডাকঘর, ব্যাঙ্ক-সহ সরকারি এবং বেসরকারি অফিস সংলগ্ন রাঁচির কর্মব্যস্ত এলাকাতেও।
দীর্ঘ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকদের অভিমত রাজধানী শহরের তকমা গায়ে লাগার পর থেকেই রাঁচিতে সব রকমের অপরাধই ক্রমবধর্মান। পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে রাঁচিতে ৩৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময়কালে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে ২৬ টি। মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যাও অনেক। নানা কারণে মহিলা-সংক্রান্ত সব অপরাধের ঘটনা পুলিশের দরজা অবধি আসে না। তৎসত্ত্বেও রাজধানী রাঁচিতে প্রতিদিন গড়ে ৬টি মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত কালই ওই হেল্পলাইনে জনা দশেক মহিলার ফোন এসেছে। অটোযাত্রী এক তরণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয় বলে রাঁচির আরগোড়া থেকে একটি ফোন এসেছিল। কাল সন্ধ্যার পর ফোনে উত্যক্ত করার অভিযোগও করেছেন একজন শিক্ষিকা।
রাঁচির মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শীলা টোপ্পো জানিয়েছেন, মহিলাদের জন্য রাঁচি পুলিশের হেল্পলাইন নতুন নয়। আগেও ছিল। পুরনো ব্যবস্থাটাকে পুনর্গঠন করা হল। আগেও মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ দফতরে আসত। কিন্তু হালে এই সংখ্যাটা অনেক বেড়ে গিয়েছে। রোজই ছ’-সাতটি করে অভিযোগ আসছে। |