রাজ্যসভার নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের অঙ্ক মেলাতে সব শরিকদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন বিজেপি জাতীয় নেতৃত্ব। আগামী সোমবার দিল্লির অশোক রোডে বিজেপি সদর দফতরের এই বৈঠকে দলের রাজ্য নেতা ও দলীয় মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ছাড়াও হাজির থাকবেন জেএমএম নেতা তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও আজসু নেতা তথা উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুদেশ মাহাত। থাকবেন জেডিইউ প্রতিনিধিও।
তবে বিজেপি-র এই অঙ্ক মেলাবার চেষ্টায় মূল ভিতই হল ‘জেভিএম’। রাজ্যের প্রাক্তন ‘বিজেপি’ মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির দল জেভিএম-এর ১১ জন বিধায়ক যদি রাজ্যসভার এই নির্বাচনে ভোট দানে বিরত থাকে তবেই বিজেপি-জেএমএমের অঙ্ক মিলবে। তা না হলে, জেভিএম যদি কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করে তবে শাসক জোটের দুই প্রার্থীর একজনের হার অবশ্যম্ভাবী। জেভিএম ভোটে অংশ না-নিলে প্রার্থীর জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রথম পছন্দের ভোটের পরিমাণটাও কমে যাবে। সেক্ষেত্রে ওই সংখ্যাটা ২৭ থেকে নেমে যাবে ২৩-এ। জোটের শরিকদের হাতে রয়েছে মোট ৪৬টি ভোট (বিজেপি-১৮, জেএমএম-১৮, আজসু-৫, জেডিইউ-২, নির্দল-৩)। সে ক্ষেত্রে ২৩-২৩ করে অঙ্ক মেলানোর চেষ্টা হবে। জেভিএম-এর ১১ বিধায়ক ভোট না দিলে কংগ্রেসের হাতে থাকবে মোট ২২ টি ভোট (কংগ্রেস-১৩, আরজেডি-৫, নির্দল-৪)। সিপিআই (এমএল)-এর একজন বিধায়ক ভোট দানে বিরত থাকবে।
যদি জেভিএম কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেয় তবে শাসক জোটের একজন প্রার্থীই জিতবেন। তেমন পরিস্থিতি হলে বিজেপি না জেএমএম, কাদের প্রার্থীকে জেতানো হবে, কী কৌশল নেওয়া হবে তা নিয়েও সোমবারের বৈঠকেই আলোচনা হবে। জোট সরকারের ভবিষ্যতের সঙ্গে এই ভোটকে জড়িয়ে দিয়ে প্রার্থী প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপি-র উপর জেএমএম যে চাপ তৈরি করেছে তা বিজেপি জাতীয় নেতৃত্বের কপালে রীতিমতো ভাঁজ ফেলেছে। নিতিন গডকড়ীকে লেখা হেমন্ত সোরেনের চিঠিতে ‘জোট সরকারের সুস্থিতির ভবিষ্যত’-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়েই বিজেপি সদর দফতরে সোমবারের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পার হয়ে গিয়েছে। এখন কোনও দলকে তাদের প্রার্থী সরাতে হলে তা করতে হবে ‘ঘরোয়া’ ভাবেই। |