|
|
|
|
নোনাডাঙা |
বস্তি উচ্ছেদ করিনি, করবও না: মুখ্যমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নাম না-করেই নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমরা কোথাও বস্তি উচ্ছেদ করিনি, করবও না। এই নিয়ে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।”
নোনাডাঙার ঘটনা নিয়ে এর আগে তাঁর দলের অন্যেরা মুখ খুলেছেন। তবে মমতা শুক্রবারেই প্রথম এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বললেন। তবে এক বারও তিনি নোনাডাঙার নাম করেননি। এ দিন মহাকরণে তিনি বলেন, “কেউ কেউ মিথ্যা কথা বলছেন। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কোথাও কোনও বস্তি উচ্ছেদ হয়নি। আমরা গরিব মানুষকে উচ্ছেদ করিনি, করবও না।”
নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে আন্দোলন হচ্ছে। এক বিজ্ঞানী-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, নাম না-করে তাঁদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ যদি মনে করেন, বিদেশি তহবিলের টাকা নিয়ে এনজিও করব, আর তাদের (গরিব মানুষকে) নিয়ে উগ্রপন্থী আন্দোলন করব, মাওবাদী করব তা মেনে নেব না। বন্দুক হাতে লোক মারা, জমি দখল করে মাফিয়াগিরি করা এ-সব কখনই মেনে নেব না।” কেন তিনি এই অভিযোগ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে মমতার বক্তব্য, ওই জায়গাটি গরিব মানুষকে স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছে। সেটা কেউ জবরদস্তি দখল করতে চাইলে তো গরিব মানুষের জমিই কেড়ে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গরিব তো সকলেই। আমাকে বলুক, দশটা লোকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি অন্য জায়গায় তা করে দিচ্ছি। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে টাকা কামিয়ে ব্যবসা করে মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট করব এটা মেনে নেব না।” কয়েক বছর আগে গোবিন্দপুর রেল কলোনি থেকে উচ্ছেদ রুখতে ধর্নায় বসেছিলেন মমতা। সে-কথা মনে করিয়ে দিয়ে নোনোডাঙার আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গোবিন্দপুর রেল কলোনিতে আমি তিন রাত বসে ছিলাম। এরা কেউ ছিল না সে-দিন। সিঙ্গুরে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করেছি। অনেক পরে সবাই এসেছেন। তাঁর প্রশ্ন, “এখন হঠাৎ গরিব মানুষের কথা মনে পড়ছে! এত দিন কোথায় ছিলেন সব?” |
|
|
|
|
|