|
|
|
|
কালীঘাট-কাণ্ড |
তদন্তে পুলিশি ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
কালীঘাট-কাণ্ডে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে গেল।
গত ২৩ এপ্রিল রাতে ৭৭এ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের যে ঘরে এক মহিলার উপরে ‘অত্যাচার’ চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি সিল করেনি পুলিশ। যে বালিশ চাপা দিয়ে মহিলাকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না, উঠেছে সেই প্রশ্নও। লালবাজার অবশ্য এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “ওই বালিশটি ‘অপরাধ’ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। ডিসি (সাউথ)-কে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।”
পুলিশ তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পালাতে ‘সাহায্য’ করেছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তদন্তে নেমে তৎপরতার পরিবর্তে পুলিশের এমন আচরণে তিনি ‘হতবাক’ বলে জানান ওই অভিযোগকারিণী। খুনের চেষ্টা ও বধূ-নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্বামী বাদল দাস ধরা পড়লেও অন্য অভিযুক্তেরা পলাতক। পুলিশ দেরিতে তদন্ত শুরু করে তাঁর শাশুড়ি, ভাসুর, জা এবং ভাসুরঝিকে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, ২৫ এপ্রিল রাতে ওই মহিলার এফআইআর নেওয়ার পরেই তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলার ভাসুরকে সেই সময়ে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। আর কোনও মহিলাকে সূর্যাস্তের পরে গ্রেফতার করা যায় না, তাই অভিযোগকারিণীর শাশুড়ি, জা ও ভাসুরঝিকে ওই রাতে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযোগকারিণী পুলিশের এই যুক্তি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “পুলিশ ওই রাতে সবাইকে নজরে রাখলে এ ভাবে কেউ পালিয়ে যেতে পারতেন না।”
এফআইআর নেওয়ার পরেও তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের যে পুলিশ পরোক্ষে ‘সাহায্য’ করছে, এমন অভিযোগও তুলেছেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, “২৫ এপ্রিল রাতে আমার স্বামী কালীঘাট থানার লক-আপে বসে ওঁর মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে অভিযোগ তুলে নিতে বলেন। অর্থাৎ, পুলিশ আমার স্বামীকে লক-আপে মোবাইল ব্যবহার করতে দিয়েছে। আমার এবং স্বামীর মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করলেই তা স্পষ্ট হবে।” এই অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে বলে লালবাজার সূত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|