বিয়ের প্রতিশ্রুতি সহবাস করেও প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার বর্ধমানের সিজেএম আদালতে ভুল স্বীকার করে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মাধবডিহি থানার ফতেপুর গ্রামের ওই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় গোপালপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে ওই যুবক সহবাস করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। তখন অবশ্য তিনি কোনও চাকরি করতেন না। এমনকী আসানসোলে তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কয়েক দিন বসবাসও করেন তাঁরা।
এর পরে চাকরি পেয়ে যান ওই যুবক। তার পর থেকেই তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা শুরু করেন বলে অভিযোগ। ওই যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, আগামী ২০ বৈশাখ হুগলির এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিনও স্থির হয়ে গিয়েছিল।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, গোপালপুরের ওই তরুণী বৃহস্পতিবার মাধবডিহি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁর প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেও অন্য জায়গায় বিয়ে করতে চলেছেন। সে দিন রাতেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু শুক্রবার আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের আইনজীবী সদন তা দাবি করেন, এই ঘটনার জন্য তাঁর মক্কেল দুঃখিত। তিনি ওই তরুণীকেই বিয়ে করতে চান। তবে জেলে তো বিয়ের অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। তাই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হোক। সিজেএম সাবিনা ইয়াসমিন ধৃতকে জামিনে মুক্তি দেন। তবে তিনি বলেন, “তাঁকে অবশ্যই তাঁর পুরোনো প্রমিকাকেই বিয়ে করতে হবে। প্রমাণ হিসেবে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ১০ মে-র মধ্যে আদালতে হাজির হতে হবে। সেই শর্তেই তাঁকে জামিন দিচ্ছে আদালত।” |