খনি এলাকার পুনর্বাসন প্রকল্পে কাঁচামালের বরাত নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার জামুড়িয়ার মধুডাঙা, শীতলবাঁধ এলাকায় বিগুলি গ্রামের বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি কাজল মাজি গোষ্ঠীর লোকজন। এতে যুব তৃণমূলের ব্লক কোর কমিটির সদস্য অলোক দাসের অনুগামীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। কাজলবাবু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁরাই আবার কাজলবাবুর ঘনিষ্ঠ শেখ আশরাফ, মহম্মদ সোহরাবদের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুর ও আক্রমণের পাল্টা অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগুলি গ্রামে খনি করার প্রয়োজনে সেখানকার ১২০টি পরিবারকে স্থানীয় মধুডাঙার শীতলবাঁধে পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করছে একটি বেসরকারি কয়লা সংস্থা। ঠিকাদারের মাধ্যমে সেখানে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মধুডাঙার মদনতোড় ও চুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বালি, ইট-সহ নানা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহে যুক্ত। এই কাজের বরাত নিয়েই দলের সংগঠন কাজলবাবু ও অলোকবাবুর গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মারামারির পরে দুই পক্ষ একে অপরকে ‘লাল তৃণমূল’ আখ্যা দেয়। এ দিন কাজলবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত শেখ আশরাফ বলেন, “আমাকে নতুন তৃণমূল বলা হলে তা হাস্যকর। আমি ১৯৯৮ সালে দলের অঞ্চল সম্পাদক ছিলাম। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত প্রার্থী হই।” অন্য দিকে, অলোকবাবুর অনুগামী বলে পরিচিত প্রভাস মণ্ডলের দাবি, “আমরাই যে আসল তৃণমূল, এলাকার মানুষ তা জানেন।” |