নির্মীয়মাণ বিমাননগরীর কাজে ফের বাধা দিলেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে অন্ডালের তামলা মৌজায় একটি ‘সাইট অফিস’ তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায় এলাকার শ’খানেক বাসিন্দার বিক্ষোভে। বর্ধমানের অন্ডালে প্রায় ২২০০ একর জমিতে গড়ে উঠছে এই বিমাননগরী। নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে বেঙ্গল এরোট্রোপলিস সংস্থা। এই প্রকল্পের নির্মাণ সহযোগী সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল। এর আগেও নানা দাবিতে বিমাননগরীর কাজে বাধা দিয়েছেন স্থানীয় জমি মালিকেরা। প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ অবশ্য হয়ে গিয়েছে। |
তামলায় বিমাননগরীর ‘সাইট অফিস’ তৈরির কাজ চলছে। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ স্থানীয় কিছু বাসিন্দা তাতে বাধা দেন। শেষে সাইট অফিস তৈরির কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রকল্পের জন্য জমি দেওয়ার সময়ে নির্মাণকারী সংস্থার তরফে তাঁদের বলা হয়েছিল, জমির দামের পাশাপাশি এক থেকে ছয় একর জমির মালিকদের পুনর্বাসন বাবদ প্রকল্প এলাকার আশপাশেই একর পিছু এক কাঠা করে বিকল্প জমি দেওয়া হবে। বিকল্প জমির সর্বোচ্চ সীমা ছ’কাঠা। অর্থাৎ, কেউ ছয় একরের বেশি জমি দিলেও পুনর্বাসন হিসাবে ছ’কাঠা জমির বেশি পাবেন না।
খেতমজুরদের পাঁচ বছরের মজুরি, বর্গাদারদের জমির মূল্যের অর্ধেক টাকা দেওয়া এবং জমিদাতা পরিবারের এক সদস্যকে প্রশিক্ষণের পরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল বলে বিক্ষোভকারীদের দাবি। তাঁদের পক্ষে রাজীব বাউরির অভিযোগ, “প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও কাউকে জমি দেওয়া হয়নি। খেতমজুর, বর্গাদারেরা ক্ষতিপূরণ পাননি। জমিদাতা পরিবারগুলির এক জন করে সদস্যকে নানা কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও চাকরি দেওয়া হয়নি।” দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক আয়েষা রানি বলেন, “এ দিনের ঘটনার কথা জানা নেই। তবে, নির্মাণ সংস্থা আমাকে জানিয়েছে, জমির বিনিময়ে যে জমি দেওয়ার কথা, তা শীঘ্রই দেওয়া হবে।” বেঙ্গল এরোট্রোপলিসের এক আধিকারিকও বলেন, “সমস্ত কিছুরই প্রক্রিয়া চলছে। নির্মাণকাজ শেষের আগে সকলের দাবিপূরণ হবে।” |