টুকরো খবর |
স্নান করতে পুকুরে নেমে ডুবে মৃত্যু ৩ ভাই-বোনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল তিন ভাইবোনের। বুধবার ফাঁসিদেওয়ার মৌলালিজোতে। মৃতদের নাম সরস্বতী বর্মন (৮), বিপ্লব বর্মন (৫) এবং মিঠু বর্মন (২)। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। তাঁদের বাড়ি ঘটনাস্থলের পাশেই। বিপ্লব আমবাড়ি প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করে। সরস্বতী মানসিক ভাবে অসুস্থ। সে কথা বলতে পারে না। ওই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কী ভাবে তিনটি শিশুর এমনভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা বলেন, “জলে ডুবে ওই তিন শিশু মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অতিরিক্ত গরমের জন্য এ দিন বিকালে বাড়িতে বলেই পুকুরে স্নান করতে যায় ওই তিন জন। অনেকক্ষণ পরেও তারা ফিরে আসছে না দেখে বাড়ির লোকজন পুকুরের কাছে যায়। সেই সময়ই বিষয়টি নজরে পড়ে তাঁদের। তাঁরা তিন জনকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে যায়। বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, ওরা দীর্ঘদিন ধরেই পুকুরে স্নান করে। গভীর জলে কখনও যায় না। বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ওই পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। বালি দিয়ে পুকুরের বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করা হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, স্নানের আগে বালিতে খেলছিল তাঁরা। সেই সময়ই বালি ধসে জলে পড়ে যায় তারা। তিন জনের কেউ সাঁতার না জানায় তাঁরা তলিয়ে যায়। কেউ না থাকায় বিষয়টি নজরে পড়েনি। পুলিশ সন্দেহ করছে, পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ছোট ভাই তলিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাকি ২ জন তলিয়ে যায়। সরস্বতী কথা বলতে না পারায় সে চিৎকার করতে পারেনি। ঘটনার তদন্তে সেখানে গিয়েছেন ফাঁসিদেওয়ার পুলিশ অফিসার ডালিম অধিকারী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই পুকুরটির চারপাশ ভরাট করা হলেও মাঝের বেশ কিছুটা অংশে জল ছিল। সেখানে এলাকার শিশুরা খেলাধূলা করত। বীরেনবাবু দিন মজুরের কাজ করেন। তাঁর তিন ছেলেমেয়েই ছিল। তাদের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্ত্রীও ঘন ঘন মূর্চ্ছা যাচ্ছেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “চোখের সামনে প্রতিদিন খেলত। এমন মৃত্যু হবে ভাবতে পারছি না।”
|
সিপিএমের স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
শহরের রাস্তা প্রশস্ত করতে পুরসভার হকার উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে জেলা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল সিপিএম। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের কাছে ওই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। গত এক সপ্তাহ থেকে শহরের ব্যস্ত এলাকায় হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পুর কতৃপক্ষয় রাস্তা দখল করে তৈরি ঘুমটি ঘর বা বিভিন্ন আবাসনকে চিহ্নিত করন করে অবৈধ নির্মাণ সরিয়ে নেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এদিন সিপিএমের তরফে জানানো হয়, যাতায়াতের সুবিধের জন্য সড়ক সম্প্রসারণ এবং উন্নত নিকাশির জন্য বড় আকারের নর্দমা তৈরির বিষয়ে সহমতপোষণ করলেও ওই কাজের জন্য দোকান ভাঙা বাঞ্ছনীয় নয়। পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে একতরফা ভাবে পুরসভা হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে অবিবেচকের মতো কাজ করছে বলে তাদের অভিযোগ। হকার উচ্ছেদ করার আগে তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে সিপিএমের দাবি। সিপিএমের সদর জোনাল কমিটির সম্পাদক জিতেন দাস বলেন, “অবিলম্বে পুরসভাকে উচ্ছেদের ঘোষণা স্থগিত রাখতে হবে। আগে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ভাবে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হলে, তারপরে উন্নয়নের অগ্রসর হতে হবে।” এদিন স্মারকলিপি প্রদানে সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মানিক সান্যাল, জেলা নেতা সলিল আচার্য উপস্থিত ছিলেন। গত সপ্তাহে পুরসভার হকার উচ্ছেদের ঘোষণার পরেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। তাদের তরফেও পুর্নবাসনের দাবি করা হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “শহরের উন্নয়নে পুরসভা বদ্ধপরিকর। সাধারণ মানুষের দাবি মেনেই উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রশাসন সহ সব পক্ষের সঙ্গেই এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
|
আদালতের দ্বারস্থ ব্যবসায়ী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে পুরসভার তরফে অন্যায় ভাবে তাঁর দোকান ভবনের দোতলার একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শিলিগুড়ি ব্যবসায়ী রতন বিহানি। মঙ্গলবার তিনি এ ব্যাপারে হাই কোর্টে একটি মামলা করেন। গত ১৬ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভা তাঁর দোকানে অবৈধ নির্মাণের অংশ ভাঙতে গেলে রতনবাবু বাধা দিয়ে ডেপুটি মেয়র-সহ উপস্থিত মেয়র পারিষদদের গালি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন। তা নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের একাংশ রাতে থানায় গিয়ে তাঁকে ছাড়াবার চেষ্টা করলেও তা কার্যকর হয়নি। পর দিন জামিনে ছাড়া পান রতনবাবু। তাঁর আইনজীবী ওম প্রকাশ শর্মা জানিয়েছেন, গত ১৬ এপ্রিল অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে পুরসভার তরফে আলুপট্টিতে রতনবাবুর দোকানের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। অথচ ওই আশঙ্কা করে আগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রতনবাবু। ১৬ এপ্রিল সেই মামলার শুনানির দিন ছিল। পুরসভাকে ২ দিন আগে তা জানানো হয়। অথচ ওই দিনই পুর কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে ভাঙচুর করে। অবৈধ ভাবে ওই কাজ করা হয়েছে। তাতে রতনবাবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁর সম্মানহানি ঘটেছে। প্রতিকার চেয়ে তিনি মঙ্গলবার হাইকোর্টে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তা ছাড়া ডেপুটি মেয়র, পুরসভার ২ আধিকারিক, বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ, শিলিগুড়ি থানার এক পুলিশ কর্তা বিরুদ্ধে একই কারণে মামলা করেছেন। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, “অবৈধ নির্মাণের জন্য পুরসভার তরফে আগেই নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। আইন মেনেই সব কাজ করা হবে।”
|
অপহরণের মামলা শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
নিখোঁজ ঠিকাদার কৌশিক দেবের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা শুরু করল কালচিনি থানার পুলিশ। গত দুই দিন আগে বক্সার জঙ্গলে জাতীয় সড়কের ধারে কৌশকবাবুর মোটর বাইকটি উদ্ধার হয়। তার পরে পুলিশ তদন্তে নামে। বুধবার ওই ঠিকাদারের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে যান আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সদস্যরা। তবে এখনও মুক্তিপণ চেয়ে কোনও টেলিফোন আসেনি বলে কৌশিকবাবুর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “ওই পরিবারের তরফে অপহরনের ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অপরহণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
থমথমে বানারহাট |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
বানারহাটে বন্ধ দোকানপাট। বুধবার ছবিটি তুলেছেন রাজকুমার মোদক। |
মোর্চা নেতৃত্বধীন যৌথ মঞ্চ দুই দিনের জন্য বন্ধ প্রত্যাহার করলেও বুধবার দোকানপাট খোলেননি বানারহাটের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ভস্মীভূত ১১জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ ছিল। স্কুল বন্ধ ছিল। চামুর্চি হাটে যাননি ব্যবসায়ীরা। নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ালেও এলাকার পরিস্থিতি এদিনও থমথমে ছিল। পুলিশ টহলদারি চলছে। দুপুরে বানারহাটে আসেন ধূপগুড়ির সিপিএম বিধায়ক মমতা রায়, মালবাজারের কংগ্রেস বিধায়ক যোশেফ মুন্ডা ও জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের কংগ্রেসের সদস্য মণিকুমার ডার্নাল। তাঁদের কাছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। মণিকুমার ডার্নাল বলেন, “ডুয়ার্সের মানুষ এই ধরণের পরিস্থিতি আগে দেখেনি। স্থানীয় মানুষের নিরাত্তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।” ডুয়ার্সে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করার পর মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ কালচিনির রাঙ্গামাটি এলাকায় শিপচু কাণ্ডে নিহত ভিকি লামার বাড়িতে যান। সেখান থেকে কালচিনির বিভিন্ন এলাকায় মোর্চা সমর্থকদের সাথে দেখা করেন।
|
খুনে দোষী সাব্যস্ত ৪ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
এক যুবককে খুনের অভিযোগে চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালের জুন মাসে শিলিগুড়ির সারদাপল্লি এলাকার বাসিন্দা পেশায় দোকান কর্মী তপন মালাকারকে (২৮) খুনের অভিযোগ ওঠে চার সহকর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক, দ্বিতীয় কোটর্র্) স্বদেশরঞ্জন রায় অভিযুক্ত চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ বৃহস্পতিবার, বিচারক রায় ঘোষণা করবেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন মালাকারকে ২০০৪ সালের ৯ জুন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সপ্তাহখানেক পরে মহানন্দা ক্যানেল থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে তপন মালাকারকে তার সহকর্মীরা খুন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের তদন্তের পরে নিহতের চার সহকর্মীকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ আট বছর ধরে জেলা আদালতে খুনের অভিযোগে মামলা চলে।
|
পচাগলা দেহ উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পচগলা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার বিকালে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি চা বাগানের পাশের জাতীয় সড়কের ধারে কালভার্টে নিচে দেহটি উদ্ধার হয়। যুবকের পরিচয় মেলেনি। দেহটি প্রায় এক মাসের পুরানো বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে। পরনে জিন্সের প্যান্ট রয়েছে। |
|