টুকরো খবর
বেতন অনিয়মিত কেন, সিটিসি-তে প্রশ্ন মন্ত্রীকে
হঠাৎই ট্রাম সংস্থার অফিসে গিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। আর সেখানে গিয়েই নিয়মিত বেতন না-হওয়ার ব্যাপারে কর্মীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কিছু কর্মী সরাসরি তাঁর কাছে জানতে চান, এত অনিয়মিত ভাবে বেতন দেওয়া হচ্ছে কেন? এ দিন ছিল সিটিসি-র পরিচালন পর্ষদের বৈঠক। বেলা ৩টে নাগাদ পরিবহণমন্ত্রী যান সিটিসি-র দফতরে। পর্ষদের বৈঠকে তিনি ছিলেন না। কয়েক মাস ধরেই কর্মীরা অনিয়মিত ভাবে বেতন পাচ্ছেন। এর জন্য তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ জমা হয়েছে। কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মার্চের বেতন মঞ্জুর হয়েছে। শীঘ্রই কর্মীরা তা পেয়ে যাবেন। সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন পরে বলেন, “পরিবহণমন্ত্রীরা সাধারণত সিটিসি-র অফিসে আসেন না। মদনবাবু দফতরে আসায় কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন।” এ দিনই মহাকরণে সিএসটিসি-র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, “ডিপোয় মেকানিকেরা বসে আছেন, মাইনেও পাচ্ছেন। অথচ বাস খারাপ হলে তা বাইরে থেকে মেরামত করে আনতে হচ্ছে। সিএসটিসি-তে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ম চলছে। বিভিন্ন ডিপো মিলিয়ে ১৩৯৩ মেকানিক থাকলেও তাঁদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে না। এত দিন পুকুর চুরি হয়েছে।” মন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে কর্মী উদ্বৃত্ত হওয়ার কথা পক্ষান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান তাপস রায়। তাঁর কথায়, “কেউ কেউ চলে যেতে চাইছেন। অনেকে শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে গিয়েছেন। আমরা কারও প্রতি অমানবিক হতে পারি না। তবে এঁদের সঙ্গে আলাদা ভাবে বসতে হবে। ১১টা ডিপোতেই আমরা ঘুরে ঘুরে অবস্থা পর্যালোচনা করব।” খরচ কমানো ও কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর কথাও বলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, আগের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের আমলে বিনা দরপত্রেই সরকারি বাসের গায়ে বিজ্ঞাপন লাগানোর বরাত দেওয়া হয়েছিল।

শস্য গুদাম তৈরিতে অভাব হবে না জমির, দাবি মন্ত্রীর
রাজ্যে খাদ্যশস্য মজুত করার জন্য যে যথেষ্ট সংখ্যায় গুদাম নেই, তা কবুল করলেন রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, গুদাম তৈরির জন্য জমির কোনও অভাব হবে না। তিনি বলেন, “রাজ্যে ১০ লক্ষ টন শস্য মজুত করার মতো গুদাম তৈরি করা প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য, রাজ্যের মোট ৩৪১টি ব্লকেই কমপক্ষে ৫ হাজার টনের একটি করে গুদাম তৈরি করা। এ জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছি। এগুলি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করতে হবে।” সম্প্রতি ফিকির সভায় জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “পরিকাঠামোর অভাবেই রেশন ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য শস্য কেনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।” গুদামের প্রয়োজন ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, “মাত্র ৫০ হাজার টন খাদ্য মজুত করার জন্য গুদাম রয়েছে। তাও এমন সব যায়গায় যে, শস্য উৎপাদনের পর সেই সব গুদামে তা নিয়ে আসার খরচ মেটাতে গিয়ে পুরো ব্যপারটা অলাভজনক হয়ে পড়ে। এ জন্য ৩ লক্ষ টন খাদ্যশস্য মজুত করার মতো গুদাম নতুন সরকার ইতিমধ্যেই ভাড়া নিয়েছে। আরও ১ লক্ষ টনের জন্য ভাড়া শীঘ্রই নেব।” বিশেষ করে গম মজুত করতে নাবার্ডের আর্থিক সহয়াতায় ৪টি সাইলো তৈরি হবে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তিনি বলেন, “নাবার্ড দেবে ১২৫ কোটি এবং ‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ হিসাবে রাজ্য দেবে তার ১০%।”

ইমাম ভাতা নিয়ে মামলা বিজেপি-র
রাজ্য সরকারের তরফে ইমামদের মাসে ২৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থের মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য বিজেপি দলগত ভাবে ও রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার মামলা করেছেন রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। আবেদনে বলা হয়েছে, ইমামেরা ভাতা পাবেন, এটা সুপ্রিম কোর্টের রায়। কিন্তু সেই ভাতা দেবে ওয়াকফ বোর্ড। সরকার ওই ভাতা দিতে পারে না। সংবিধানের ১৪ ও ১৫(১) ধারায় বলা আছে, কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়কে এ ভাবে ভাতা দেওয়া যায় না। দিতে হলে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওই জাতীয় কাজ যাঁরা করেন, বৈষম্য না-করে প্রত্যেককে ভাতা দিতে হবে। সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, ইমামেরা অনেক সামাজিক কাজ করেন। আবেদনকারীর বক্তব্য, ইমামদের নির্দিষ্ট কাজ আছে। তাঁরা ধর্মস্থান পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করবেন, আজান দেবেন এবং নমাজ পড়াবেন। তাঁদের কর্মসূচির মধ্যে সামাজিক কাজ বা অন্য কাজের সুযোগ নেই।

বায়োমেট্রিক কার্ডের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে
রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ পাওয়ার উপযুক্ত বাসিন্দাদের চিহ্নিত করার জন্য তাঁদের নামে বায়োমেট্রিক কার্ড তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হল বেসরকারি সংস্থাকে। ওই প্রকল্পে কাজ করতে ইচ্ছুকদের হাতের ১০টি আঙুলেরই ছাপ থাকবে ওই কার্ডে। থাকবে ছবিও। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মহাকরণে বলেন, ওই কর্মীদের জন্য ‘জব কার্ড’ ও ‘ব্যাঙ্ক কার্ড’ তৈরির দায়িত্বও নিয়েছে সংস্থাটি। ১০০ দিনের প্রকল্পে কে কত দিন কাজ করেছেন, তার হিসেব মিলবে জব কার্ডে। প্রকল্পে কাজ করে যাঁর যা প্রাপ্য হবে, তা ব্যাঙ্কে তাঁর নামে জমা পড়বে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.