দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। আর যেহেতু আমরা আস্তে আস্তে হলেও আইপিএল ফাইভের শেষের দিকে এগোচ্ছি, এখন থেকে প্রতিটা ম্যাচই মহাগুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট তোলা বা হারানোদুয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই। ঘরের মাঠে পুণের দিল্লি ম্যাচটা মোটেও ভাল গেল না। কিন্তু প্রতিকূলতার মধ্যেও এই ম্যাচে আমাদের পক্ষে ভাল দিক খেলাটা পুণে ওয়ারিয়র্সকে দেখিয়ে দিয়ে গেল, কোন কোন জায়গায় আমাদের নিজেদেরকে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা এমন একটা সময়ে পৌঁছেছি, যখন ক’দিন বিশ্রাম পাব। যে বিশ্রামটা আমাদের ভীষণ দরকার। তবে তার আগে আজ আমাদের ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম পর্বটা বেশ ভাল ভাবে শেষ করা দরকার। এ বারের আইপিএলে কোনও দলই পার্কে আরামে বেড়াবার মতো অবস্থায় নেই। সে কারণে আমি মনে করি, আমাদের বৃহস্পতিবারের প্রতিপক্ষ ডেকান চার্জার্স এমন একটা টিম যারা এখনও জমে ওঠেনি। কিন্তু যে কোনও দিন জমে উঠতে পারে।
কেকেআরের সঙ্গে ডেকানের ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়ায় সঙ্গকারাদের ঝুলিতে এখন এক পয়েন্ট। রাউন্ড রবিন শেষে এই একটা পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যারা সেটা পেল বা যারা পেল না, দু’তরফেরই কাছে। ডেকান টুর্নামেন্টে বড় ইনিংস গড়ছে। কিংবা প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখছে। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক নিজেদের রান রক্ষা করতে পারছে না, কিংবা বিপক্ষের টার্গেট তাড়া করার ব্যাপারে সফল হচ্ছে না। তবে সেটা নিয়ে ভাবার কাজ আমাদের নয়। প্রথম আইপিএলের একটা টিমের কথা আমার মনে পড়ছে। যাদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের পরে ঝুলিতে কোনও পয়েন্ট ছিল না। কিন্তু সেখান থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রায় সেমিফাইনালে পৌঁছেই গিয়েছিল।
গল্পের মর্মার্থটা খুব সহজ এবং সরল: এই ফর্ম্যাটে কোনও দলকেই ফেভারিট কিংবা দুর্বল বলা যায় না। সে জন্য আমার ছেলেদের আমি বলতে চাইব পরের দুটো ম্যাচ আমাদের কাছে এসপার বা ওসপার। এই টুর্নামেন্টে আমাদের যা হওয়ার এই দুটো ম্যাচেই সেটা হয়ে যাবে। দিল্লিতে দিল্লির বিরুদ্ধে আমরা জেতার পর জানতাম, পুণেতে ফিরতি ম্যাচে ওরা নির্মম ভাবে আমাদের উপর ঝাঁপাবে। তার জন্য আমাদের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি দুই-ই ছিল। কিন্তু যে ভাবে চেয়েছিলাম, মাঠে সে ভাবে এই দুটো জিনিস প্রয়োগ করতে পারিনি। আমাদের ব্যাটিংয়ের গোড়ায় ধাক্কা খেয়েছিলাম, তার পরে ইনিংস গোছানোর কাজটা হয়। কিন্তু সেই কাজটা করতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। কুড়ি ওভারের শেষে আমরা মোটে দু’টো উইকেট হারাই। ডাগআউটে তখনও জনাকয়েক ব্যাটার বসেছিল, যারা অতি প্রয়োজনীয় আরও ২৫ রান হয়তো তুলে দিতে পারত। যে রানটা আমাদের ইনিংসে কম উঠেছিল। এই ফর্ম্যাটে ব্যাটসম্যানকে তার নিজের স্বাভাবিক স্ট্রোকগুলো ভয়ডরহীন ভাবে মারতে হবে। ইনিংস গুছিয়ে তোলার জন্য বেশি সময় নিলে চলবে না। মণীশ পাণ্ডে আর উথাপ্পা মঙ্গলবার খুব ভাল ব্যাট করেছে। তা সত্ত্বেও আমার মনে হয়, ওরা হাত খুলে মারতে একটু বেশি দেরি করে ফেলেছে দিল্লি ম্যাচে। |