|
|
|
|
|
যন্ত্রের নানা ত্রুটি,
মেট্রো
কর্তারা তা মানতেই নারাজ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
লাইনে লাগানো ট্র্যাক সার্কিটে অসুবিধা হচ্ছে। সেন্সর যন্ত্র অনেক সময়ে চাকা চিনতে (রিড করতে) পারছে না। তাই সিগন্যাল লাল হয়ে থেমে যাচ্ছে।
তবু, ‘এগুলো কোনও ত্রুটি নয়।’ নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থায় বরং ‘যথেষ্ট উন্নতি’ হয়েছে মেট্রো চলাচলে। রবিবার নতুন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পরে লাগাতার চার দিন মেট্রো পরিষেবা তুমুল ভোগালেও এটাই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য।
মেট্রোর পুরো যাত্রাপথ এই নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে সময় লেগেছে প্রায় এক বছর। অস্ট্রিয়ার এক সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কাজ চলাকালীন অবশ্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়নি। অবশেষে রবিবার নতুন সিগন্যাল চালুর পর থেকেই বিপত্তির সূত্রপাত।
কী সমস্যা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালে?
মেট্রো সূত্রে খবর, গোটা যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টেশনের হোম বা স্টার্টার সিগন্যাল কারণ ছাড়াই লাল হয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রেন আটকে যাচ্ছে। আর একটি ট্রেন আটকালেই পিছনে থাকা পরপর ট্রেনগুলি দাঁড়িয়ে পড়ছে।
বুধবারও দমদমমুখী একটি ট্রেন গীতাঞ্জলি থেকে নেতাজি স্টেশনের মধ্যে দু’বার দু’তিন মিনিট করে আটকে পড়ে। মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় সাত-আট মিনিট। এর ফলে পিছনের ট্রেনগুলিও গড়ে চার-পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকে। এই অবস্থা চলে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে। ফের ভুগতে হয় যাত্রীদের।
এই বিপত্তির কারণ কী?
মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সাধারণ) প্রত্যুষ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘অনেক সময়ে একটি ট্রেন যাওয়ার পরে সিগন্যাল লাল হয়ে থাকছে। আসলে চাকায় লাগানো সেন্সর যন্ত্রটি মাঝে মাঝে ট্রেনের চাকা চিনতে (রিড করতে) পারছে না। তখন একটা চাকা ওই সেন্সরের কাছে নিয়ে গিয়ে লাইন দিয়ে চালিয়ে দিলেই আবার সিগন্যাল সবুজ হয়ে যাচ্ছে। নতুন যন্ত্র। এমন হতেই পারে। এটা কোনও ত্রুটিই নয়।”
কিন্তু রেলের কর্তাদের একাংশ মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যে সায় দিতে পারেননি। তাঁদের কথায়, ‘ট্র্যাক সার্কিট গোলমালকে ত্রুটি বলা হবে না কেন? এটা তো যান্ত্রিক ত্রুটিই। কেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ এমন কথা বলছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না।” অন্য দিকে, রেলের এক প্রাক্তন কর্তা সুভাষরঞ্জন ঠাকুর বলেছেন, “অটোমেটিক সিগন্যাল যথেষ্ট অত্যাধুনিক ভাবে তৈরি হয়। এতে অনেক সুবিধা হবে। কিন্তু যেখানে বেশি ট্রেন চলবে, সেখানে এই প্রযুক্তি লাগানোর অসুবিধা একটাই যথেষ্ট মেরামতির কাজ করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। সম্ভবত এটা ভাবা হয়নি।” |
|
|
|
|
|