টুকরো খবর
জার্মানির স্কুলে ফিরতে চলেছে মাইন কাম্ফ
বহু বছর ধরে বিশ্বের নানা ভাষায় অনুবাদ হলেও দীর্ঘ ৬৭ বছর নিজের দেশেই ছাপা হয়নি হিটলারের মাইন কাম্ফ। কোনও নিষেধাজ্ঞা অবশ্য নেই বইটির উপর। কেবল নাৎসি মতবাদ ফের মাথাচাড়া দিতে পারে এই আশঙ্কায় এত দিন ছাপা হয়নি সেটি। অবশেষে সেই পর্ব চুকিয়ে আবার জার্মান ভাষায় বেরোতে চলেছে হিটলারের আত্মজীবনী। তবে এ বারের লক্ষ্য মূলত স্কুলছাত্ররা। স্কুলে তাদের তো আর নাৎসি মতবাদ শেখানো যায় না। তাই একই মলাটের মধ্যে নাৎসি মতবাদের বীভৎসতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মন্তব্য জুড়ে বইটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। নিজের জীবন ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে জেলে বসে এই বই লেখেন হিটলার। ১৯২৫ সালে প্রথম ছাপার অক্ষরে বেরোয় সেটি। জার্মানদের বর্ণশ্রেষ্ঠত্ব, ইহুদি-বিদ্বেষ, পূর্ব প্রান্তে পোল্যান্ড, চেকোশ্লোভাকিয়ায় জার্মান আগ্রাসনের কারণ-বিস্তারিত ভাবে সবই রয়েছে মাইন কাম্ফে। হিটলারের আমলে এক কোটিরও বেশি এই বই ছাপা হয়েছিল। বিক্রির হার ছাপিয়ে গিয়েছিল বাইবেল বিক্রিকেও। তৃতীয় রাইখে হিটলারের আত্মজীবনী অবশ্যপাঠ্য তো ছিলই, এমনকী সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের হাতে মাইন কাম্ফ তুলে দেওয়ার রীতিও প্রচলন করেন ফ্যুয়েরার। ১৯৪৫ সালে হিটলারের আত্মহত্যার পর তাঁর সব সম্পত্তি ও লেখাপত্তরের স্বত্ব পায় জার্মানির বাভারিয়া প্রদেশ। সেই স্বত্ব শেষ হবে আর তিন বছর পরেই। ফলে তখন যে কেউই ছাপতে পারবেন বহু আলোচিত এই বই। তাই তার আগেই হিটলারের নিজের লেখার সঙ্গে নাৎসি বিরোধী ধারণা ছাপাতে চলেছে প্রশাসন।

দিল্লির দ্বারস্থ সুইডেনের দম্পতিও
এক বছরের লড়াইয়ের শেষে সন্তানদের ফিরে পেয়েছেন নরওয়ের প্রবাসী দম্পতি অনুরূপ ও সাগরিকা ভট্টাচার্য। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার আরও একটি ঘটনা সামনে এল। এ বার সুইডেনে। এগারো বছরের ছেলেকে সুইডিশ সরকার কেড়ে নিয়ে গিয়েছে, অভিযোগ করে বিষয়টিতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন অ্যানি জোহানসন নামে এক মহিলা। আদতে পুণের বাসিন্দা অ্যানির আগের নাম ছিল নির্মলকুমার ভারোস। ২০০৪ সালে সুইডিশ নাগরিক ক্রিস্টার জোহানসনকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর ভারতেই থাকছিলেন তাঁরা। ২০০১-এ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে সুইডেনে চলে যান অ্যানি। সে বছরেরই ৯ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাঁদের ছেলে ডমেনিকের। ২০০৯ সালে ডমেনিককে নিয়ে যায় সুইডেনের গটল্যান্ড মিউনিসিপ্যাল সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কমিটি। অভিযোগ ছিল, বাবা-মা তার ঠিকঠাক খেয়াল রাখছেন না। অ্যানির দাবি, ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা না থাকাতেই এমনটা হয়েছে। কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছেন অ্যানি। আবেদনের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও।

ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধে সভ্যতা ধ্বংস হবে, দাবি সমীক্ষায়
ভারত আর পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ বাধালে প্রভাব বিশ্ব জুড়ে পড়বে বলে দাবি সমীক্ষায়। পরমাণু যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক পদার্থবিদদের একটি কমিটির (আইপিপিএনডব্লিউ) উত্তর আমেরিকা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইরা হেফল্যান্ড জানান, ভারত-পাক সম্পর্কের অবনতি হলে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে। আর এই যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। ইরাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুদ্ধ হলে চিন থেকে আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চালের উৎপাদন কমে যাবে প্রায় একুশ শতাংশ। কমে যাবে সয়াবিন ও অন্য কৃষিজ বস্তুর উৎপাদনও। এর ফলে বেড়ে যাবে সব জিনিসপত্রের দাম। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে পৃথিবীর কয়েকশো কোটি গরিবের উপর।

মোদীকে মার্কিন ভিসা দিতে আর্জি রিপাবলিকানের
‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও মেলেনি মার্কিন ভিসা। এ বার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কূটনৈতিক ভিসা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রিপাবলিকান দলের নেতা জো ওয়ালশ। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনকে লেখা এক চিঠিতে মোদীকে কূটনৈতিক ভিসা দেওয়ার আর্জি জানান ওয়ালশ। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আমেরিকায় বসবাসকারী মুসলিমরা। মোদীকে ভিসা না দেওয়ার জন্য বিদেশ দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। গুজরাতকে মার্কিন লগ্নির কেন্দ্রস্থল হিসেবে স্বীকার করলেও, ২০০২-এর দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোদীকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে আমেরিকা।

আদালতে আজ গিলানির ভাগ্যপরীক্ষা
আবার এক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান। আদালত অবমানননার দায়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর পদ তো যেতেই পারে, হতে পারে মাস ছ’য়েকের কারাদণ্ডও। আবার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করতে গড়িমসির জন্যই যেহেতু গিলানি কাঠগড়ায়, সুতরাং এর একটা আঁচ জারদারির উপরেও পড়বে। জারদারির বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার বিষয়টিও আরও এক বার সামনে আসবে। এবং জারদারি-গিলানি দু’জনেই বিপন্ন হলে সেনাবাহিনী ফের অতিসক্রিয় হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। রায় ঘোষণার দিন গিলানি যাতে আদালতে আসেন, গত কাল পাক প্রধানমন্ত্রীর কৌঁসুলি এতজাজ আহসানকে তা নিশ্চিত করতে বলেছিল সাত বিচারপতির বেঞ্চ। গিলানি নিজেও আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়ে দেন, আগামিকাল শীর্ষ আদালতে হাজির থাকবেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.