|
|
|
|
কৃপাসিন্ধু-খুনে অভিযুক্ত দু’জনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
দলেরই নেতা খুনে অভিযুক্ত কেতুগ্রামের তৃণমূল নেতা হারা শেখের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। এই ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত আশাদুল্লা শেখের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। আশাদুল্লার বাড়ি থেকে একটি মাস্কেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কেতুগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর কেতুগ্রাম ১ ব্লকের সদর দফতর কান্দরার কাছে মালগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক কৃপাসিন্ধু সাহা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তারাশঙ্কর পণ্ডিত তৃণমূলেরই ব্লক কার্যকরী সভাপতি হারা শেখ, দলীয় কর্মী আশাদুল্লা শেখ ও চাঁদ শেখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এর মধ্যে কাটোয়া মহকুমা আদালতে চাঁদ শেখ আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানায়, ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমগোড়িয়া গ্রাম থেকে এই খুনের চক্রান্তকারী হিসেবে ইসলাম মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুই অভিযুক্তকে ধরার দাবিতে তৃণমূলের একাংশ প্রশাসনের নানা স্তরে চিঠি দেয়। গত শুক্রবার ও শনিবার কান্দরায় বন্ধ-অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতির মধ্যেও।
পুলিশ জানায়, গত ১৭ এপ্রিল কাটোয়া মহকুমা আদালতের এসিজেএম অঞ্জনকুমার সরকার পলাতক দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। সোমবার এই মামলার তদন্তকারী অফিসার চন্দন চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের গতিবিধি অনুসরণ করে নানা জায়গায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। সে কারণে পুলিশ আদালতের কাছে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ অভিযান চালায়।
কেতুগ্রাম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, হারা শেখের বাড়ি থেকে ট্রাক্টর, মোটরবাইক, সাব-মার্সিবল পাম্প-সহ একাধিক আসবাবপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আশাদুল্লার বাড়ি থেকে একটি মাস্কেট মিলেছে। কান্দরার নানা জায়গায় পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ৪ মে-র মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে দুই অভিযুক্তের নামে হুলিয়া জারি করা হবে।
তৃণমূলের কেতুগ্রাম ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে-র দাবি, “পুলিশ হারা শেখের বাড়ির সবাইকে বের করে দিয়ে তালা মেরে দিয়েছে।” পুলিশ অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজ বলেন, “আইন আইনের পথে চলছে। প্রশাসন সঠিক ভূমিকাই পালন করছে।” কৃপাসিন্ধু সাহার অনুগামী তৃণমূল কর্মী তাপস সাহা, উজ্জ্বল মণ্ডলদের বক্তব্য, “আমাদের আন্দোলনের জন্যই প্রশাসন নড়ে বসেছে। আশা করি, নিহত নেতার খুনের ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে যাবে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। |
|
|
|
|
|