জলপাইগুড়ি পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দিতে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ) বিগত বছরগুলিতে যে ফি আদায় করেছে, তা ফেরত চেয়ে এসজেডিএকে চিঠি দিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। এসজেডিএ তৈরি হওয়ার পর থেকে পুর এলাকায় বাড়ি তৈরিতে পুরসভার পাশাপাশি এসজেডিএ থেকেও ছাড়পত্র নেওয়ার প্রথা চালু হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সে সময় সরকার ও পুরসভা উভয়েই এ বিষয়ে সম্মতি দেয়। জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়ার ফি এসজেডিএ সংগ্রহ করলেও রাজ্য সরকারের ১৯৭৯ সালের শহর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আইন অনুযায়ী ফি পুরসভার তহবিলেই জমা পড়ার কথা। জন্মলগ্ন থেকেই ওই ফি এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ পুরসভাকে দেয়নি বলে পুরসভার অভিযোগ। ৩০ মার্চ জলপাইগুড়ি পুরসভা মাসিক বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এসজেডিএ থেকে আর কোনও ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। রাজ্যের অন্য শহরগুলির মতই এক্ষেত্রে পুরসভা একাই পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দেবে। সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি এসজেডিএ কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে। বিগত বছরে জলপাইগুড়িতে বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দিয়ে এসজেডিএ যে ফি আদায় করেছে তা ফেরত চেয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। গত ১১ এপ্রিল পুরসভার তরফে এসজেডিএর কার্যনির্বাহী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে এই টাকা চাওয়া হয়। পুরসভার হিসাব অনুযায়ী টাকার পরিমাণ তিন কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “গত মার্চেই পুরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বকেয়া ফি চেয়ে এসজেডিএকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” এসজেডিএর বোর্ড সদস্য তথা জেলা তৃণমূল নেতা চন্দনবাবু বলেন, “এসজেডিএ আদায় করা ফি পুরসভা পাবে এমন কোনও কথা আমার জানা নেই। এসজেডিএ তাঁদের আইন অনুযায়ী ফি আদায় করে। তবে পুরসভা এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে, তাতে কোনও বাধা নেই।” জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরে বাড়ি তৈরির অনুমতি নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই এক অবাস্তব নিয়মের প্রচলন রয়েছে। আমরা সেটা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।” |