বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে রাস্তার হাল ফেরেনি। আন্দোলনের আঁচ পেয়ে এবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করার জন্য মিনি বাস মালিক সংগঠনের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিলেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাস মালিক সংগঠনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল ওই সময়ের মধ্যে কাজ শুরু না হলে তাঁরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দফতরে ধর্নায় বসবেন। এ দিকে দ্রুত রাস্তা মেরামতি না হলে কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছে বাস কর্মী সংগঠন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল ম্যানেজার পঙ্কজ মিশ্র বলেন, “আমরা সাত দিনের মধ্যে কাজ শুরু করব বলেছি। এ জন্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এজেন্সিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ডুয়ার্স মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক গৌরব চক্রবর্তী বলেন, “মঙ্গলবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা রাস্তা মেরামতের জন্য সাত দিন সময় চেয়েছেন। তার মধ্যে কাজ শুরু না হলে আমরা ধর্নায় বসব।” নর্থ বেঙ্গল অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজ আহমেদ বলেন, “দেড় বছর থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অনেক আশ্বাস দিয়েছেন। এবার কাজ না হলে আমরা কর্মবিরতির ডাক দেব।”
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ময়নাগুড়ি-শিলিগুড়ি রুটের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গিয়েছে আগেই। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভাঙন শুরু হয়েছে সড়কের অন্য অংশেও। পিচ, পাথর উঠে ফুলবাড়ি থেকে ফাঁটাপুকুর পর্যন্ত রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করার জন্য গত মার্চ মাসের শেষ নাগাদ মিনি বাস মালিক সংগঠনের তরফে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন ওই সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষার পরও কাজ না শুরু হওয়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বিপজ্জনক পরিস্থিতি বুঝেও কেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। সংস্থার টেকনিক্যাল ম্যানেজার বলেন, “রাস্তা মেরামতের জন্য ৬ কোটি টাকার টেন্ডার অনেক আগে হয়েছে। কাগজপত্রের কিছু সমস্যার জন্য ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শুরু সম্ভব হয়নি। ওই সমস্যা মিটেছে। তাই এক সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়েছে।” |