নেট শাসনের চেষ্টার নিন্দায় বিশিষ্টসমাজ, ছাত্রেরা পথে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র মুছতে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি)-এর তরফে তোড়জোড় শুরু হলেও নেট-রঙ্গ রুখতে সরকারি ‘খবরদারি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এক দিকে বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যেমন মজাদার ছড়া-কার্টুন বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে, তেমনই গণতান্ত্রিক অধিকার ‘হরণের’ প্রতিবাদে পথে নামছেন আম-নাগরিক থেকে বিশিষ্টজনেরা। মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ স্কোয়্যার ও প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনে বিক্ষিপ্ত ভাবে এমন ‘প্রতিবাদ’ দেখানো হয়েছে। ‘শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ’-এর তরফে বিশিষ্টজনেদের নামে বিবৃতি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, বাম আমলে মাঠে নামার মতো ‘পরিবর্তনে’র পরে তৃণমূল-জমানাতেও প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। বিশিষ্টদের অনেকে ‘পরিবর্তনপন্থী’দের মধ্যে সামনের সারিতে ছিলেন। |
বিক্ষোভ মিছিলে সামিল অম্বিকেশ মহাপাত্র, তরুণ সান্যাল-সহ বহু বিশিষ্টজন।
মঙ্গলবার কলেজ স্কোয়ার থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত এই মিছিল হয়। —নিজস্ব চিত্র |
মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ছবি ইন্টারনেটে ‘ফরওয়ার্ড’ করার দরুণ যাঁর ‘পুলিশি হেনস্থা’ নিয়ে শহর উত্তাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক অম্বিকেশ মহাপাত্রও কলেজ স্কোয়্যারে গণ-অবস্থানে যোগ দেন। বিদ্যাসাগরের মূর্তির নীচে বন্দিমুক্তি কমিটি ও শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ আয়োজিত ওই সমাবেশের পরে মিছিল যায় সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার পর্যন্ত। এ দিনও মহাশ্বেতা দেবীর লিখিত বিবৃতি সেখানে পড়া হয়। প্রেসিডেন্সি কলেজের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করেছিল ছাত্র সংগঠন এআইএসএ। সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
দলমত নির্বিশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি মিছিল এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রবীন্দ্র সরোবর পর্যন্ত যায়। সেখানে সমাবেশ করেন ছাত্রছাত্রীরা। আজ, বুধবারও যাদবপুরের পড়ুয়া-শিক্ষকদের একযোগে প্রতিবাদ-কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক পর্যন্ত মিছি করবেন তাঁরা। |