তফসিলি নির্যাতনের ৮৮% মামলা ঝুলে পশ্চিমবঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আদিবাসীদের উপরে নির্যাতনের বহু মামলা ঝুলে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য। তফসিলি জাতি-উপজাতিভুক্ত মানুষদের প্রতি অত্যাচার নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রী মুকুল ওয়াসনিক বলেন, “তফসিলি জাতি-উপজাতিভুক্তদের বিরুদ্ধে নিযার্তনের মামলা নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র ও বিহার পিছিয়ে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৮৮ শতাংশ মামলা ঝুলে রয়েছে। মাত্র ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।”এ বিষয়ে রাজ্যের সরকারি আইনজীবীদের নজর দিতে বলা উচিত বলেই কেন্দ্রের মত। পাশাপাশি যে সব পুলিশ অফিসার চার্জশিট পেশ করতে ঢিলেমি দেখাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় আইনে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। রাজ্যের তরফে আজ অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি অবশ্য বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, তফসিলিদের উপর নির্যাতনের সুযোগ নিয়েই মাওবাদীরা তাঁদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে। মাওবাদী সমস্যার সমাধানে তাই এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিত বলেই কেন্দ্রের মত। তফসিলি-নির্যাতন প্রতিরোধে আইনও রয়েছে। সেই আইন যাতে আরও কঠোর ভাবে কার্যকর করা হয়, তার জন্যই ডাকা হয়েছিল এই বৈঠক। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যের দিকে আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ তফসিলি জাতি-উফজাতিভুক্ত। তা সত্ত্বেও তাঁদের অবহেলা করা হয়। তাঁর কথায়, “দিল্লির জেসিকা লাল হত্যার বিচার চেয়ে নাগরিক আন্দোলন হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বিহারের ভোজপুরে ২১ জন দলিত হত্যার বিচার চেয়ে কি কোনও আন্দোলন হয়েছে? তাঁদের কি কেউ হত্যা করেনি?”
|