টুকরো খবর
গঙ্গার ভাঙন রুখতে তহবিল চাইল রাজ্য
মুর্শিদাবাদ ও মালদহে গঙ্গার ভাঙন রুখতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক তহবিল তৈরির দাবি তুললেন ফিরহাদ হাকিম। আজ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় গঙ্গা অববাহিকা কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এই দাবি তোলা হয়। পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর যুক্তি, ওই দুই জেলায় ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’-এ যে সব পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল, ভাঙনে সেগুলোও জলের তলায় চলে যাচ্ছে। মুশির্দাবাদ-মালদহে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অস্তিত্বও সঙ্কটে। এ ছাড়া কলকাতার বেলেঘাটা ও কেষ্টপুর খাল এবং টালির নালাকেও ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় নিয়ে এসে তাদের সংস্কারের দাবি তুলেছেন ফিরহাদ। বৈঠক শেষে ফিরহাদ জানান, দু’টি ক্ষেত্রেই নীতিগত ভাবে রাজি কেন্দ্র। এর পর রাজ্য প্রকল্পের প্রস্তাব দেবে। যাতে দূষিত জল সরাসরি গঙ্গায় না পড়ে, সে জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’-এ গোটা রাজ্যেই বেশ কিছু ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’ তৈরি হয়। আজকের বৈঠকে ফিরহাদ জানান, এই ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলির অধিকাংশই অকেজো। কোথাও নকশার গণ্ডগোল ছিল, কোথাও ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই পৌরসভাগুলির কাছে প্ল্যান্ট চালানোর অর্থ ছিল না। এ বার তাই ঠিক হয়েছে, যারা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের নকশা তৈরি করবে, তাদেরই সেগুলি তৈরি করে চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার বা পৌরসভা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে। বেলুড় থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত গঙ্গার তির সৌন্দর্যায়নের জন্যও কেন্দ্রীয় সাহায্য দাবি করেন ফিরহাদ।

যৌথ অভিযান চালু করার দাবি শুভেন্দুর
বিনপুরের শিবমন্দির চকের মাঠে যুব তৃণমূলের সভায়
রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী। দেবরাজ ঘোষ।
যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধের দাবিতে একটা সময় একের পর এক সভা করেছিলেন জঙ্গলমহলে। সেই জঙ্গলমহলে সভা করেই এ বার পড়শি রাজ্যে মাওবাদী মোকাবিলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান জোরদার করার দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরে যুব তৃণমূলের এক সভায় সংগঠনের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু বলেন, “কিষেণজির মৃত্যুর পর মাওবাদীরা সাময়িক ভাবে এ রাজ্য থেকে পাততাড়ি গোটালেও ফের তারা জঙ্গলমহলে ঢুকে অশান্তি ছড়ানোর ছক কষছে। বেলপাহাড়ি সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে মিটিং করছে ওরা। অবিলম্বে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন’ সক্রিয় করতে এই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ রাখছি।” পাশাপাশি তৃণমূল-শাসিত এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে বলে দাবি জানিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “এ রাজ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে বলে প্রধানমন্ত্রীও সন্তোষপ্রকাশ করেছেন।” উন্নয়নের এই ধারা স্তব্ধ করতেই সিপিএম ও কিছু আঞ্চলিক স্থানীয় শক্তি মাওবাদীদের সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

লরিচালকদের সুরক্ষায় নজর
জাতীয় সড়কে লরিচালকদের নিরাপত্তার জন্য নজরদারি বাড়াতে পুলিশকে নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। নিরাপত্তার স্বার্থে লরিচালকদের কাছে কোনও বিশেষ সাঙ্কেতিক প্রযুক্তি দেওয়া যায় কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানান রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। এ দিন মহাকরণে লরি-মালিক সংগঠন ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বাগনান ও হলদিয়ার মধ্যে জাতীয় সড়কে ডাকাতদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে জানতে পেরেছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, নিরাপত্তার খাতিরে বেশ কিছু লরিকে একসঙ্গে পুলিশি পাহারায় রাস্তা পার করানো হবে। তমলুক ও হাওড়ার মধ্যে লরিচালকদের নিরাপত্তা দেখবে জেলা পুলিশ এবং সিআইডি। ‘জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস’ বা জিপিআরএস চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। লরি নির্দিষ্ট পথের বাইরে গেলে এই প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সঙ্কেত যাবে। ট্যাঙ্কারচালক শৈলেন্দ্র সিংহের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চালকদের একাংশ এ দিনও লরি নামাননি।

২৩০০ হোমগার্ড নিচ্ছে রাজ্য
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সাহায্য করতে দু’টি পুলিশ কমিশনারেট ও ১০টি জেলায় প্রচুর হোমগার্ড নিয়োগ করছে রাজ্য। আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। ওই দু’টি পুলিশ কমিশনারেট হল হাওড়া এবং দুর্গাপুর-আসানসোল। আর জেলাগুলি হল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া (গ্রামীণ), হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, দার্জিলিং ও কোচবিহার। কমবেশি ২৩০০ হোমগার্ড নেওয়া হবে। রাজারহাট-নিউ টাউনে স্নাতক স্তরের সরকারি কলেজ খোলার প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ও কেশিয়াড়ির মধ্যে যোগাযোগ সুগম করতে সুবর্ণরেখার উপরে ১৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সেতু তৈরির ভার সরকারি সংস্থা ম্যাকিনটশ বার্নকে দেওয়ার প্রস্তাবও মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।

পুরনো নিয়মেই ক্ষতিপূরণ
ট্রেজারি ঘুরে ক্ষতিপূরণের টাকা আসার প্রক্রিয়াটি যে জটিল এবং সময়সাপেক্ষ, প্রকারান্তরে তা মেনে নিল বন দফতর। আপাতত তিন মাসের জন্য ওই পদ্ধতিতে দাঁড়ি টেনে দিয়ে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন মঙ্গলবার জানান, এখনই নয়, জুলাই মাস থেকে ওই ‘নব্য’ পদ্ধতি বলবৎ হবে। এ দিন বনমন্ত্রী বলেন, “দফতরের বেতন দেওয়ার প্রশ্নে ট্রেজারি-বিধিই চালু থাকবে। তবে ক্ষতিপূরণ বা গ্রামবাসীদের আর্থিক সাহায্য সংক্রান্ত ব্যয় আপাতত ডিএফও-রাই করবেন। নব্য বিধির লেটার অফ ক্রেডিট পদ্ধতি শুরু হবে পয়লা জুলাই থেকে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.