শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্ধ করে দেওয়া বিভাগগুলি চালু করার দাবিতে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে থাকা ছাত্র সংসদ। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর আইটিআই কলেজে ছাত্র ভর্তির আবেদন পত্র গ্রহণ করার কাজ মঙ্গলবার বন্ধ করে দিলেন টিএমসিপি’র সদস্যেরা। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভাগগুলি পুনরায় চালু করার ব্যাপারে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত ছাত্র ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হবে.বলে তাঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে।
টিএমসিপি সূত্রে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ‘সিট মেট্যাল ওয়ার্কার’, ‘ডিজেল মেকানিক’, ‘ফাউন্ড্রিম্যান’ ও ‘কারপেন্টার’ বিভাগগুলি। .সম্প্রতি রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতর জানিয়েছে ‘ফিটার’, ‘ওয়েল্ডার’ ও ‘টার্নার’ বিভাগের আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে। সংশয় দেখা দিয়েছে ‘মেশিনিষ্ট গ্রাইন্ডার’ বিভাগ নিয়েও। ওই বিভাগটি এখন চালু থাকলেও নতুন নির্দেশ অনুযায়ী ওই বিভাগটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এর ফলে এখানে আসন সংখ্যা ৪৫০ থেকে কমে প্রায় ২০০ হয়ে যাচ্ছে। এতেই আপত্তি তুলেছে টিএমসিপি।
বস্তুত রঘুনাথপুর মহকুমা জুড়ে শিল্পায়নের কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ার পরেই এই শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। পুরুলিয়া ছাড়াও বাঁকুড়া ও বর্ধমান জেলার ছাত্রছাত্রীরা.এখানে ভর্তির আবেদন করেন। টিএমসিপি জেলা কমিটির সদস্য ও আইটিআই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পিন্টু মাজি বলেন, “পুরনো চারটি বিভাগ আগে থেকেই বন্ধ। এরপর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিভাগে আসন সংখ্যা কমানো হয়েছে। এই অবস্থায় ছাত্রদের স্বার্থেই আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।”.ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ গোপ বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সংসদ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই আন্দোলন শুরু করা হয়েছে।” আসন কমে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে বিব্রত হয়েই টিএমসিপি আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে.বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।
রঘুনাথপুর আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, “চারটি বিভাগের অনুমোদনের নথি কারিগরি শিক্ষা দফতরে না থাকায় ওই বিভাগগুলিতে তাঁরা আগেই ছাত্র ভর্তি বন্ধ করতে বলেন। পুনরায় অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ আরও তিনটি বিভাগে আসন কমানোর মৌখিক নির্দেশ দেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।” রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো’র আশ্বাস, “অধ্যক্ষের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সমস্যাগুলি লিখিত ভাবে জানাতে বলেছি। আমি কারিগরি শিক্ষা দফতরের অধিকর্তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।” |