বাস, ছোট গাড়ি বন্ধে নাকাল বাঁকুড়াবাসী
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলায় গাড়ি চালানো বন্ধ রাখলেন বেসরকারি বাস ও ছোট গাড়ি কর্মী সংগঠনগুলি। ফলে এ দিন রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন চরম নাকাল হন। গুটিকয়েক সরকারি বাস ছাড়া কোনও যাত্রীবাহী গাড়ি রাস্তায় নামেনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাস ও ছোট গাড়ি চলবে না বলে কর্মী সংগঠনগুলি আগাম ঘোষণা করেনি। তাই তাঁদের উপরে বাসিন্দারা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রশাসনকে জানিয়ে এবং প্রচারপত্র বিলি করে তাঁরা গাড়ি চালানো বন্ধ রাখেন। তবে, বাঁকুড়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “আগাম কোনও খবর না দিয়ে জেলাজুড়ে বাস বন্ধ করে ওঁরা বেআইনি কাজ করেছেন।”
বিষ্ণুপুর স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সারি সারি বাস।
বিষ্ণুপুরের পিয়ারডোবা থেকে ট্রেনে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক আত্মীয়কে দেখতে এসেছিলেন অমল পাল। ফেরার পথে বাস বা অন্য গাড়ি না পেয়ে তিনি বলেন, “গাড়ি বন্ধ রাখার কথা জানতাম না। ওঁরা আগে থেকে প্রচার করলে বাড়ি থেকে বের হতাম না।” প্রায় দু’ঘন্টা অপেক্ষা করার পর ভিড়ে ঠাসা একটি সরকারি বাসে তিনি কোনও রকমে জায়গা পান। বাসের অপেক্ষায় বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা খাতড়ার সোমা মণ্ডলও বলেন, “বাস চলবে না জানলে এই গরমে বের হতাম না।” জেলার সর্বত্র একই চিত্র দেখা গিয়েছে। ইন্দাসের রহিম আলি, দীপক মহন্তরাও একই ভোগান্তিতে পড়েন। বিষ্ণুপুরেও বাস না পেয়ে অনেকে আটকে পড়েন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসু বলেন, “বাস শ্রমিক সংগঠনগুলি এ দিন আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
বিষ্ণুপুর শহরের রাস্তায় সরকারি বাস ঘিরে যাত্রীদের ভিড়।
কিন্তু তা যে একেবারে বন্ধের চেহারা নেবে তা অনুমান করতে পারিনি। এ দিন অতিরিক্ত কিছু সরকারি বাস চালানো হয়।” সিটুর বাঁকুড়া জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক উজ্বল সরকারের অভিযোগ, “দুর্ঘটনা ঘটলেই কোনও তদন্ত ছাড়াই বাস চালকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সিটু, মোটর মজদুর সঙ্ঘ, আইএনটিটিইউসি, আইএনটিইউসি-সহ বাঁকুড়া জেলা ট্যাক্সি ড্রাইভার্স অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দিন আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিককে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাই আমরা কাজে যোগ দিতে পারিনি।” মোটর মজদুর সঙ্ঘের জেলা সম্পাদক সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “এ দিন আন্দোলনে নামার কথা আগেই প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। প্রচারপত্র বিলি করে ও মাইকে প্রচারও করা হয়।”
ছবি: শুভ্র মিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.