টুকরো খবর
ডাকাতির আগেই ধৃত ৬
ডাকাতি করার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল ৬ দুষ্কৃতী। সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারিশরিফ থানার নারায়ণপুর থেকে ওই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান এবং একটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ক্যানিংয়ের এসডিপিও পিনাকীরঞ্জন দাস বলেন, “সোমবার রাতে একটি কেসের তদন্তে বেরিয়েছিলাম। ফেরার পথে দেখি রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলা রয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে একটু এগোতেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি চোখে পড়ে। গাড়ির কাছে থাকা কয়েক যুবক পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করে। তাড়া করে ওদের ধরে ফেলি।”পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম হান্নান মোল্লা, জালালুদ্দিন লস্কর, আমিরুল লস্কর, সাবির মোল্লা, মুন্না লস্কর ও বাবু মোল্লা। সকলেরই বাড়ি জীবনতলার মনসাপুকুর ও দাহারানিতে। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই তারা সেখানে জড়ো হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, সন্দেশখালি-সহ কয়েকটি এলাকায় ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এডিএম-নিগ্রহে আগাম জামিন নয়
আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসককে তাঁর অফিসের মধ্যেই কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদকের নেতৃত্বে নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার আলিপুর জেলা ও দায়রা জজের আদালতে কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদক তন্ময় বিশ্বাস-সহ ছ’জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এই মামলায় ওই ছ’জন-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় এফআইআর করা হয়। অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় বসুকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগও আনা হয়েছে। এ দিন ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুদেব মিত্রের এজলাসে মামলাটি ওঠে। সরকারের তরফে আইনজীবী শ্যামাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় জানান, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে অভিযুক্তেরা জোর করে অতিরিক্ত জেলাশাসকের অফিসে ঢোকে ও তাঁর টেবিলে রাখা সরকারি জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে ও গালাগালি দেয়। সঞ্জয়বাবুকে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করার সঙ্গে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানান সরকারি আইনজীবীরা। সঞ্জয়বাবু সে-দিনই আলিপুর থানায় এফআইআর করেন।

নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৩
এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ক্যানিংয়ের জাবনতলা থানা এলাকায় ওই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের নাম মইনুদ্দিন মোল্লা, বাপ্পা মোল্লা ও হাফিজুল গাইন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনতলার গাঁথি গ্রামের রাজু মোল্লার সঙ্গে ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৪ এপ্রিল মইনুদ্দিন রাজু ডাকছে বলে ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতেই রাজু-সহ ধৃত তিন জন ওই নাবালিকাকে নিয়ে বিহারের সিওয়ানে রওনা হয়। সেখানে কয়েক দিন ধরে ওই নাবালিকাকে তারা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পরে গত ১৫ এপ্রিল তারা মেয়েটিকে জীবনতলায় ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পুলিশের কাছে অভিযোগ নাবালিকার মা জানিয়েছেন, গ্রামের একটি মেলায় তার মেয়ের সঙ্গে রাজুর পরিচয় হয়েছিল। রাজু তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। গত ৪ এপ্রিল মইনুদ্দিন রাজুর সঙ্গে দেখা করার নাম করে মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরে ওকে বিহারে নিয়ে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজু পলাতক। খোঁজে তল্লাশি চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”

পথ দুর্ঘটনায় তরুণীর মৃত্যুতে বাস ভাঙচুর
বাসের ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে বাস ভাঙচুর করল জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম-বাদু রোডে। পরে পুলিশ এসে বাসচালককে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে, কেমিয়া-খামারপাড়া পঞ্চায়েতের কলুপাড়ার বাসিন্দা আনজুরা খাতুন (২৮) নামে ওই মহিলা সেলাইয়ের কাজ করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ মধ্যমগ্রামে সেলাইয়ের কাজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই মহিলা বাস ধরতে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় একটি বেসরকারি খালি বাস প্রচণ্ড জোরে খড়িবাড়ির দিক থেকে মধ্যমগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ধাক্কা মারে আনজুরাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। দুর্ঘটনার পরে বাসটিকে আটকে ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা।

বধূর শ্লীলতাহানি, ধৃত যুবক
এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানি ও তাঁর স্বামীকে মারধরের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার সন্ধ্যায় হাসনাবাদের থুবার কাছে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মনিরুল মিস্ত্রি নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি হাসনাবাদের হরিহরপুর গ্রামে। বাদুড়িয়ার কাটিয়হাটে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি স্বামীর সঙ্গে টাকিতে ইছামতী নদীর ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে মনিরুল তাঁদের পথ আটকায় এবং মহিলাকে ঘিরে কটূক্তি করে ও ননাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। তাঁর হাত ধরে টানে বলেও অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। পুলিশের কাথে ওই দম্পতি অভিযোগ দায়ের করলে মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ, ধৃত ৪
বড় চাকরি, সিনেমায় নামিয়ে দেওয়ার ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফুঁসলে নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগে এক দম্পতি-সহ চারজনকে দ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ছাত্রীর বাড়ি সন্দেশখালির মনিপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দম্পতির নাম অভিজিৎ ঘোষ ওরফে জনি এবং একাদশী ঘোষ ওরফে বর্ষা। তাদের বাড়ি বসিরহাটচের মৈত্রবাগান এলাকায়। মনিপুর গ্রাম থেকে ধৃত বাকি দু’জনের নাম নিরাপদ গাইন ও মানস পাইক। ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

উঠল অনশন
হাসনাবাদে কাটাখালি নদীর উপর সেতুর দাবিতে সোমবার হিঙ্গলগঞ্জের কালিবাড়ি মোড়ে গণঅনশনের পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা কেটে, রাস্তায় গাছ পুঁতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষ। সাহাপুর, বাঁকড়া, বরুণহাট, পারহাসনাবাদের শিমুলিয়ায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভের জেরে গাড়ি বন্ধ থাকায় চরম হয়রান হন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার হিঙ্গলগঞ্জ কালীবাড়িতে রাস্তার পাশে মঞ্চ তৈরি করে গণ অনশন হয়েছিল। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ বিডিও এসে দ্রুত রাস্তার মেরামতির আশ্বাস দিলে অনশন তুলে নেওয়া হয়। নাগরিক সমিতির সম্পাদক ও তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বিডিও রাস্তা সংস্কার করা বে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু হাসনাবাদ সেতুর কাজ শুরু না হলে আমরা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.