শিক্ষক প্রতিনিধি পদে মনোনয়নপত্র তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক জন শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল। ভাঙচুর চালানো হয় স্কুলে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদের কুমারপুকুর হাইস্কুলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে। ‘বহিরাগত দুষ্কৃতীদের’ বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রের খবর, ২৯ এপ্রিল স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোট। মঙ্গলবার ছিল শিক্ষক প্রতিনিধি পদে ভোটের মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন। শিক্ষকদের একাংশ দুপুরের দিকে মনোনয়নপত্র তুলতে দিতে এসে দেখেন, প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে বহিরাগত কিছু লোক হইচই করছে। তাতে কংগ্রেস-তৃণমূলের স্থানীয় কয়েক জন নেতাও ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সুজিবকুমার পান্থি। এই স্কুলে পরিচালন সমিতিতে গত বার জয়ী হয়েছিল বামবিরোধীরা জোট। নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে পরিচালন সমিতির বাম সদস্যদের তরফে সোমবার প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। এ দিন যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তারা দাবি তোলে, এই ঘটনা নিয়মবিরুদ্ধ। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে এ ভাবে স্মারকলিপি নিতে পারেন না প্রধান শিক্ষক।
এ দিকে, গোলমাল চলাকালীনই শিক্ষকদের কয়েক জন গিয়ে দাবি করেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র দিতে হবে। নিয়ম মতো, বেলা ২টো পর্যন্ত ছিল মনোনয়নপত্র নেওয়ার সময়। শিক্ষকদের সঙ্গে এ নিয়ে তর্কাতর্কি বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। সে সময়ে শিক্ষকদের লাঠি-রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ৪-৫ জন জখম হন। এক শিক্ষক জ্ঞান হারান।
পরিচালন কমিটির সম্পাদক আবদুল মাজেদের বক্তব্য, “নিয়ম বিরুদ্ধ ভাবে বামেদের স্মারকলিপি নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ সব নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।” অভিভাবকদের তরফে বাবুর আলি মণ্ডল বলেন, “বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষকদের ক্লাসে যেতে বলা হয়েছিল। তাঁরা যেতে না চাওয়ায় উত্তেজনা বাড়ে।” ‘প্রহৃত’ শিক্ষক আনসার গাজি, সুব্রত মৃধাদের বক্তব্য, “আমাদের মনোনয়নপত্র তুলতেই দেওয়া হয়নি। ভোটে যাতে কেউ না দাঁড়াতে পারি, সে জন্যই এ দিন হামলা চালানো হয়। নিমাই বৈদ্য নামে এক শিক্ষক মারের চোটে জ্ঞান হারান।”
প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, “বহিরাগত কয়েক জন শিক্ষকদের মারধরে যুক্ত। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” |