তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর সভার প্রচার ঘিরে নবগ্রাম ব্লকে ফের প্রকাশ্য এল দলের গোষ্ঠী কোন্দল।
আগামী ৬ মে ধুলিয়ানে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সমাবেশে শুভেন্দু অধিকারীর থাকার কথা। ওই বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে পলসণ্ডা মোড়ে প্রচার সভা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নবগ্রাম ব্লক সভাপতি চম্পালাল ঘোষ ও দলের সংখ্যালঘু সেলের জেলা সম্পাদক সাফাতুল্লা শেখ। পলসণ্ডা মোড়ের কাছেই ভোলাডাঙার মাঠ। সেই মাঠে একই বিষয়ে এ দিন পাল্টা সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী। ওই দু’টি সভাস্থলই নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে। প্রদীপবাবুর যুক্তি, “তৃণমূলের নারায়নপুর অঞ্চলের সাধারণ সভা করা হল। সেই সভা থেকে ধুলিয়ানে শুভেন্দু অধিকারীর সভার প্রচারও করা হয়। জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই এ দিন সভা করেছি।”
কিন্তু নারায়ণপুর অঞ্চলের সভায় না থেকে এক কিলোমিটারেও কম তফাতে চম্পালাল ঘোষ ও সাফাতুল্লা শেখের নেতৃত্বে একই বিষয়ে পৃথক আরও একটি সভা করা হল কেন? প্রদীপবাবুর জবাব, “ওঁদের সঙ্গে লোকজন নেই। দলেও ওঁদের ঠাঁই নেই। ওঁরা তো সিপিএম এবং কংগ্রেসের মদতে তৃণমূল কংগ্রেসের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ফলে ওঁদের সভাকে ধরতব্যের মধ্যেই রাখছি না।”
চম্পালাল ও সাফাতুল্লা অবশ্য দাবি করেন, “কোনও সভা হয়নি। আমাদের কোনও খবরও দেননি প্রদীপবাবুরা। আমরা তাই ধুলিয়ানে শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য প্রচার সভা করছি জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিয়েই।” তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি অবশ্য ওই দু’টি সভার মধ্যে কোনও বিরোধ, বা সংঘাত দেখতে পাননি। এমনকী তিনি গোষ্ঠী বিবাদের কথাও মানতে নারাজ।
তিনি বলেন, “আরও শাখা সংগঠন থাকলে আরও সভা করা যেত। পৃথক দু’ জায়গায় দু’টি সভা করায় কোনও রকম অস্বাভাবিকতা নেই।” |