|
|
|
|
পূর্বের ফুলবাজার পরিদর্শনে মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, দেউলিয়া ও পাঁশকুড়া ফুলবাজারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন ও উদ্যান পালন দফতর মন্ত্রী অরূপ রায়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত তিনটি ফুল বাজারে এসে ফুলচাষি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক বিপ্লব মিত্র সহ বেশ কয়েকজন সদস্য ও দফতরের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ওই তিন ফুলবাজারের উন্নয়নে দফতরের পরিকল্পনার কথা জানান উদ্যান পালন মন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা বাংলা ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির তরফে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ফুলবাজারগুলির সমস্যা সমাধানের আর্জি জানানো হয়। সে সময় মন্ত্রী ফুলবাজার পরিদর্শনের আশ্বাস দেন। সোমবার সন্ধ্যায় মল্লিকঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির প্রতিনিধি দলকে নিয়ে প্রথমে কোলাঘাট রেলস্টেশন সংলগ্ন ফুলবাজারে আসেন মন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার কথাও শোনেন তিনি। অরূপবাবু জানান, কোলাঘাটের ফুলবাজার বর্তমান স্থানের পরিবর্তে রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে উদ্যান পালন দফতর। আরও বড় জায়গা নিয়ে ফুলবাজার গড়ার বিষয়ে মুকুল রায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এরপর মন্ত্রী কোলাঘাটের দেউলিয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে যে ফুলবাজার রয়েছে তা পরিদর্শনে যান। বর্তমানে এই ফুল বাজার ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় বসে। উদ্যানপালন মন্ত্রী ওই জায়গায় পিপিপি মডেলে ফুলবাজার গড়ার প্রস্তাব দেন।
সোমবার রাতেই উদ্যানপালন মন্ত্রী পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে সরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা ফুলবাজার পরিদর্শনে যান। ২০০৬ সালে চালু হওয়া ওই ফুলবাজার চত্বরে হিমঘর তৈরি করা হলেও ৬ মাস পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। ফুলবাজার বর্তমানে কেবলমাত্র রাতে কয়েক ঘণ্টা চলে। ওই ফুলবাজার পরিদর্শনের সময় ফুলচাষিরা মন্ত্রীকে অভিযোগ করেন, আড়তদার প্রথায় ফুল বেচার ব্যবস্থা থাকায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আড়তদার তুলে সরাসরি চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফুল বেচা-কেনার ব্যবস্থার পাশাপাশি ফুলবাজারের হিমঘর চালুর জন্য আর্জি জানান তাঁরা। ওই ফুলবাজারের বাম আমলে গড়া পরিচালন সমিতি ভেঙে দেওয়া হলেও কয়েকজন সদস্য হিমঘর ও অফিসের তিনটি ঘরের চাবি রেখে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিন মন্ত্রীর নির্দেশে দুটি ঘরের চাবি ফেরত দেন দফতরের আধিকারিকরা। মন্ত্রী জানান, শীঘ্র ফুলবাজারের নতুন পরিচালন কমিটি গড়ে তোলার পাশাপাশি হিমঘর চালুর জন্য উদ্যোগী হবেন।
মঙ্গলবার সকালে মল্লিকঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির প্রতিনিধিদল পাঁশকুড়ার কেশাপাট, গোঁসাইবেড় ও রাজশহর ফুলবাজার পরিদর্শনে যান। পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জকপুরে একটি বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত গোলাপ ফুলের নার্সারি পরিদর্শন করেন সমিতির প্রতিনিধি দল। মল্লিকঘাট ফুলবাজার পরিচালন সমিতির সদস্য তথা সারা বাংলা ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমন্বয় সমিতির সম্পাদক নারায়ণ নায়েক বলেন, ‘‘ফুলবাজারগুলির উন্নয়নে সরকারি সাহয্যের বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী ও সমিতির প্রতিনিধদল বিভিন্ন ফুলবাজার পরিদর্শন করেছে।” |
|
|
|
|
|