দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে আশ্বাস সেচমন্ত্রীর
সুবর্ণরেখা বাঁধ-প্রকল্প বাস্তবায়িত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মানছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও। তাই প্রায় দু’হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি রূপায়ণে এ বার বিশেষ ভাবে উদ্যোগীও হচ্ছেন সেচমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন-স্তরে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। আবারও শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যেখানে জেলার প্রশাসনিক কর্তা, সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়র, নদী বিশেষজ্ঞরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, “প্রকল্প হবেই।” তাঁর অভিযোগ, “বামফ্রন্টের আমলেই প্রকল্পের কাজ সে ভাবে এগোয়নি। অবহেলা করা হয়েছে। এখন ফের কাজ এগোচ্ছে।” সেচমন্ত্রীর কথায়, “সুবর্ণরেখা বাঁধ-প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করার চেষ্টা চলছে। আমরা সরকারে এসে ইতিমধ্যেই কয়েক বার বৈঠক করেছি। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এক দিকে যেমন সেতু হবে, অন্য দিকে সেচের উন্নতির জন্য বাঁধও হবে।
আর একটা শিলা নয়াগ্রামে প্রস্তাবিত সেতুর। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেতু করছেন। তা বলে বাঁধ হবে না, এমন নয়। সেতু থেকে ৬০০ মিটার উপরে হবে ব্যারাজ। সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণও জরুরি। তাতে দুই মেদিনীপুরের কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।”
সেতুর জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। এলাকার মানুষকে ব্যারাজের গুরুত্ব বুঝিয়েই জমি দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। এ নিয়ে আগেও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। আবারও সে ধরনের বৈঠক করার উপরেই জোর দিচ্ছেন সেচমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এ বারের বৈঠকে নদী বিশেষজ্ঞদেরও আমন্ত্রণ জানাতে চান মন্ত্রী। তাঁরা যাতে বৈঠকে হাজির থেকে সকলকে ব্যারাজের গুরুত্ব বোঝান, সেই উদ্যোগই হচ্ছে। জমি দিলে আখেরে যে সাধারণ মানুষের ভালই হবে--সে কথাও বোঝাবেন সকলে। আবার উল্টোদিকে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের সঙ্গেও এ ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। সেচমন্ত্রীর কথায়, “সব দিক দিয়েই চেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে ব্যারাজের গুরুত্ব বুঝে সাধারণ মানুষও এগিয়ে আসেন। তার পর সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের ছাড়পত্রেরও প্রয়োজন। ওখান থেকে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক অনুমোদন মিলে গেলেই কাজ শুরু করতে আর অসুবিধা থাকবে না।”
মন্ত্রীর আশা, “যেখানে দু’টি জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ সেচ পাবেন, বন্যার বিপদ থেকে রেহাই পাবেন--সেখানে জমি ততটা সমস্যা হবে না বলেই মনে হয়। নিশ্চয়ই এলাকার মানুষ ও সমস্ত রাজনৈতিক দল তা বুঝবেন ও সাহায্য করবেন।” মানুষকে সে কথা বোঝাতেই শীঘ্রই মেদিনীপুরে বৈঠকের আয়োজন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। আগের বাম-আমলে সেচ দফতরের তরফে আশ্বাস ছিল, প্রকল্প-এলাকার মধ্যে যাঁদের বাড়িঘর পড়বে, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হবে। জমিহারা কৃষিজীবীদের এককালীন ৭৫০ দিনের মজুরি এবং আদিবাসী কৃষিজীবীদের অতিরিক্ত ৫০০ দিনের মজুরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসনে নিয়মমাফিক সব ব্যবস্থাই হবে বলে এখনও আশ্বাস সেচ দফতরের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.