বায়ার্ন মিউনিখ-২ (রিবেরি, গোমেস)
রিয়াল মাদ্রিদ-১ (ওজিল) |
মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের দুই অন্যতম সেরা দলের ফুটবল দেখতে দেখতে মনে হল আমাদের দেশে শুধু শুধুই ‘বিদেশি হঠাও’ স্লোগান তোলা হয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ এবং রিয়াল মাদ্রিদ দুই ক্লাবেই তো বিদেশি ফুটবলারের ছড়াছড়ি। তবে যেটা তাৎপর্যের সেটা হল, বিদেশিদের সঙ্গে দেশীয় ফুটবলাররাও খেলছে পাল্লা দিয়ে। তার মধ্যে বায়ার্নের জার্মানরা অনেক বেশি ভাল খেলল তাদের দলের বিদেশিদের সঙ্গে। আগে কোনও জার্মান দলের মাঝমাঠকে এই গতিতে ওঠা-নামা করতে দেখিনি। পাঁচ মিডফিল্ডার কী দ্রুত আক্রমণে উঠছে। পর মুহূর্তেই নেমে আসছে ডিফেন্স করতে। রিবেরি-রবেন-ক্রুসরা যেমন অ্যাটাকে ধার বাড়াচ্ছিল। তেমন সোয়াইনস্টাইগার-আলাবারা তাড়াতাড়ি নেমে এসে আটকে দিচ্ছিল দি’মারিয়া-রোনাল্ডোদের। কর্নার ক্লিয়ার করার সময় বক্সের যেখানে বলটা পড়ল সেখানে রিবেরি পৌঁছে গেল প্রচণ্ড গতিতে। এই বল ফলো করাটা দেখার মতো। দু’নম্বর গোলটার পুরো কৃতিত্ব লামের। রাইট ব্যাক থেকে উঠে এসে রাইট আউটের মতো ক্রস করল। গোমেস সেটাকে শুধু গোলে ঠেলল। |
বায়ার্নকে ১-০ এগিয়ে দেওয়ার পর রিবেরি। মঙ্গলবার মিউনিখে। ছবি: এপি |
এই কারণেই পুরো প্রথমার্ধে রিয়ালের থেকে বল পজেশন অনেক বেশি থাকল বায়ার্নেরই। বলতে গেলে স্পেনীয় লিগে এত প্রাধান্য নিয়ে খেলা রিয়াল মাদ্রিদকে ম্লান দেখাল জার্মান ক্লাবটির মাঝমাঠের জন্যই। বিরতির ঠিক পরই অবশ্য ওজিল সমতায় ফেরাল রিয়ালকে। রোনাল্ডো একা গোলকিপারকে পেয়েও গায়ে মারল। শেষ পর্যন্ত ওই অ্যাটাকেই ওজিল গোলটা পেল রোনাল্ডোর পাস থেকে। রোনাল্ডো কিন্তু একেবারে ম্লান। গোলের পাস ছাড়া আর একটাও ভাল পাস নেই। আর প্রশংসা প্রাপ্য রেফারি হাওয়ার্ড ওয়েবেরও। দারুণ ম্যাচ পরিচালনা করলেন। |