আন্দ্রে ভিলাস বোয়াসের আমলের দ্রুত অধঃপতনের ধাক্কা সামলে বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হচ্ছে চেলসি। আর তাদের নতুন অস্থায়ী ম্যানেজার রবের্তো দি’মাতিও-র হাত ধরেই মেসিদের স্বপ্নের দৌড় থামাতে মরিয়া চেলসি।
কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এক রোমহর্ষক ম্যাচে নাপোলিকে হারিয়ে শেষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করেছেন দ্রোগবা-ল্যাম্পার্ডরা। এই নিয়ে মোট ছ’বার। তাই পেপ গুয়ার্দিওলার দলে প্রচুর নামী-দামি তারকা থাকলে কী হবে, দ্রোগবা-ল্যাম্পার্ড-টেরিরাও কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে প্রস্তুত। তাঁরা প্রস্তুত, তিন বছর আগের সেমিফাইনালে হারের বদলা নিতে। ২০০৯-র সেই ম্যাচে একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে চেলসিকে বড় ধাক্কা দিয়েছিলেন ইনিয়েস্তা। |
এফ এ কাপ সেমিফাইনালে টটেনহ্যামকে ৫-১ গোলে হারানোর পরে এখন আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে চেলসি। দ্রোগবাও ফুটছেন। বদলার ম্যাচে তাই আবার সেই হারানো সম্মান ফিরে পেতে মরিয়া তিনি। পরিসংখ্যানের বিচারে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে বার্সেলোনা। নক আউট রাউন্ডে মোট চার বারের মধ্যে তিন বারই জিতেছেন মেসিরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই মুহূর্তে মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো ফর্মে খেলছে বার্সা। শেষ ১৫ ম্যাচে ১৪ জয়। লিওনেল মেসির ২৬ গোল। এই মরসুমে মোট ৬৩। আর চারটে গোল করলেই বায়ার্ন মিউনিখ তারকা গার্ড মুলারের রেকর্ড ছুয়ে ফেলবেন তিনি। ল্যাম্পার্ডের মুখেও মেসি-বন্দনা। বলেছেন, “ওই দিন যে ভাল খেলবে, সেই জিতবে। বার্সেলোনায় অনেক ফুটবলার আছে, যারা যখন-তখন যা খুশি করে ফেলতে পারে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার মেসিকে আটকানোই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
বার্সা কোচ গুয়ার্দিওলা তাঁর রক্ষণ সাজাতে পারেন পুওল, পিকে, মাসচেরানো, আলভেজ এবংকে নিয়ে। ডিফেন্সিভ স্ক্রিন বুস্কেতস। ইনিয়েস্তার সঙ্গে অ্যাটাকিং মিডিও জাভি, সাঞ্চেস ও কেইতা। এক ফরোয়ার্ড মেসি। গোলে ভালদেস। উল্টো দিকে, চেলসি কোচ দি’মাতিও-র রক্ষণে থাকছেন ইভানোভিচ, কাহিল, টেরি। মাঝমাঠে মাতা, রামিরেস, ল্যাম্পার্ড, এসিয়েন, মালুদা। দুই ফরোয়ার্ড হয়তো কালু ও দ্রোগবা। গোলে পের চেক। চেলসি কোচ একটু দ্বিধায়, তোরেস না দ্রোগবা কাকে প্রথম দলে রাখবেন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য দল যাই হোক না কেন, মেসিকে আটকাতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে চেলসির। বার্সা মিডফিল্ডার মাসচেরানো বলেছেন, “বিশ্বের এক নম্বর ফুটবলার যখন তোমার দলে খেলে, তখন বাকি ফুটবলাররা ওর ওপর একটু বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যত দিন যাচ্ছে মেসির গোল খিদে বেড়েই চলেছে। ওর খেলার ওপর ম্যাচের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করবে।”
চেলসির কাছে সুখের খবর একটাই। ডিফেন্সে টেরিকে টপকে মেসির গোল করার নজির নেই। |